
ভাতার: ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন। পাত্রীর খোঁজ পেয়ে গিয়েছিলেন সেখানে। কিন্তু, পাত্রীকে দেখতে গিয়েই ‘অপহৃত’ হলেন এক ব্যক্তি। এমনকি, তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকাও নিল অপহরণকারীরা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানা এলাকার। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তদন্তে নেমে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম জিয়ারুল শেখ। তাঁর বাড়ি ভাতার থানার বামশোর এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারির বড়পলাশনের রাইস মিল মালিক প্রাণগোপাল মণ্ডল তাঁর ছেলের বিয়ের জন্য পাত্রী খুঁজছিলেন। হঠাৎই তাঁকে পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তি ফোন করে জানান, তাঁর কাছে এক পাত্রীর সন্ধান রয়েছে। এবং প্রাণগোপালকে পাত্রী দেখতে যাওয়ার জন্য বলেন। ওই ব্যক্তির কথা মতো পাত্রী দেখতে যান প্রাণগোপাল মণ্ডল। অভিযোগ, ভাতারের এরুয়ার এলাকায় পৌঁছাতেই বেশ কয়েকজন তাঁকে এবং তাঁর গাড়ির চালককে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে অপহরণ করেন। এবং নিয়ে যান ভাতারের বামশোর এলাকায়। সেখানেই তাঁকে এবং গাড়ি চালককে আটকে রাখেন অপহরণকারীরা।
এরপর প্রাণগোপালের কাছে থাকা সোনার গয়না ছিনতাই করেন অপহরণকারীরা। এবং তাঁর অশ্লীল ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে আরও টাকার দাবি জানান। ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার শর্তে পরের দিন সকালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রাণগোপাল মণ্ডল প্রথমে ভয় অপহরণকারীদের ৫০ হাজার টাকা দেন। তারপরও তাঁকে ক্রমাগত আরও টাকার জন্য চাপ দেওয়া হয়। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে ভাতার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনার তদন্তে নেমে ভাতারের বামশোর থেকে জিয়ারুল শেখকে গ্রেপ্তার করে ভাতার থানার পুলিশ। এই ঘটনায় বাকি জড়িতদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। একইসঙ্গে প্রাণগোপাল মণ্ডলকে যিনি ফোন করেছিলেন, তাঁর ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ঘটনাটি নিয়ে প্রাণগোপালের পরিবার মুখ খুলতে রাজি হয়নি।