বর্ধমান: প্রেমিকার বাড়িতে যাতায়াত ছিল প্রথম থেকেই। তবে কিছুদিন হল মেয়ের বাড়ির লোক সম্পর্ক নিয়ে বেঁকে বসেছিল। তবুও হাল ছাড়েনি যুবক। নিত্য যাতায়াত করতে প্রেমিকার বাড়িতে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের বোঝানোর চেষ্টা করতেন। মঙ্গলবার রাতেও গিয়েছিলেন। তবে প্রেমিকার বাড়ির উঠোন থেকে মরদেহ উদ্ধার হয়েছিল তাঁর। ঘটনার প্রথম থেকেই যুবকের বাড়ির সদস্যরা দাবি করছিলেন তাঁদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে। অবশেষ সেই দাবি সত্যি হল। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ, প্রেমিকা সহ চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অভিযুক্ত প্রেমিকা প্রিয়াংকা কীর্তনীয়া, বাবা সুনীল কীর্তনীয়া, দাদা রাজিব কীর্তনীয়া ও মা জয়মালা কীর্তনীয়া।
বুধবার, সকালে খবর পেয়ে পুলিশ পূর্ব বর্ধমানের মেমারির পারিজাতনগরের উদয়পল্লীতে অভিযুক্ত প্রেমিকার বাড়িতে আসে। বাড়ির উঠোন থেকে যুবককে উদ্ধার করে মেমারি হাসপাতালে নিয়ে যায় তারা। এরপর মৃত্যু হয় ওই যুবকের। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত প্রেমিকার বাড়িতে ভাঙচুর করে প্রেমিকের আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বর্ধমান সদর দক্ষিণ এসডিপিও সুপ্রভাত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী। এলাকার মানুষজন প্রেমিকা এবং তার পরিবারকে গ্রেফতারের দাবিতে মেমারী তারকেশ্বর রোড অবরোধ করেন। পরে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলার পর অবরোধ ওঠে।
যুবকের পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে। মৃত যুবকের নাম শুভ শীল (২৮)। বাড়ি মেমারির পারিজাত নগর এলাকায়। পারিবারের অভিযোগ, প্রেমঘটিত কারণের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে।অভিযোগের পরিপেক্ষিতে খুনের অভিযোগ দায়ের করে মেমারি থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করে। বৃহস্পতিবার ধৃত চারজনকে গ্রেফতার করে পাঠানো হয় বর্ধমান আদালতে। মৃত শুভ্র শীলের সঙ্গে প্রায় ছয়বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।