পূর্ব বর্ধমান: বেশিদিন হয়নি পূর্ব বর্ধমানের দায়িত্বে এসেছেন তিনি। চলতি মাসেই নবান্ন থেকে আমলা স্তরে বদলি হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন পূর্ণেন্দু মাঝি। নতুন জেলায় এসে দায়িত্ব নিয়েই গ্রাউন্ড জ়িরোয় নেমে পড়েছেন তিনি। শনিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ ব্লকের রাস্তা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন জেলাশাসক। পথশ্রী প্রকল্পের রাস্তার কাজ কেমন হয়েছে, তা সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। সেই পরিদর্শনে গিয়ে রাস্তার হাল দেখে বেশ বিরক্ত পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি। যে বাস্তুকার ওই রাস্তার দায়িত্বে ছিলেন, তাঁকে কার্যত ধমক দিলেন জেলাশাসক। বললেন, “আপনারা কী ভাবলেন? আমি শুধু রাস্তা দিয়ে গাড়ি করে হুঁশ করে বেরিয়ে যাব? নাকি!”
নিজে রাস্তায় নেমে কেমন কাজ হয়েছে, তা পরিদর্শন করেন তিনি। রাস্তায় পিচের স্তর কতটা পুরু, তা নিজে যাচাই করে দেখলেন। এলাকাবাসীরাও জেলাশাসককে দেখালেন রাস্তার হাল। নতুন তৈরি পিচের রাস্তা। অথচ, সেই রাস্তার পিচ উঠে বেরিয়ে আসছে। হাত দিয়ে চাপ দিলেই গুড়ো গুড়ো হয়ে যাচ্ছে পিচ। রাস্তার দায়িত্বে থাকা বাস্তুকার তখন জেলাশাসককে বোঝানোর চেষ্টা করেন, পিচের রাস্তা তৈরি হওয়ার পর কোনওকারণে বৃষ্টির জল পড়ে এমন হয়ে থাকতে পারে। কিন্তু সেই যুক্তি মানতে কিছুতেই রাজি নন জেলাশাসক। বললেন, ‘এটা পিচের থিকনেস! দেখুন কীভাবে উঠছে এগুলো।’
উল্লেখ্য, রায়না-২ ব্লকেরর অন্তর্গত মীরপুর থেকে রামচন্দ্রপুর কালীতলা পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তার এই বেহাল দশা। পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় এই রাস্তা নতুন তৈরি করা হয়েছে। রাস্তার কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। দিন ১৫ আগে নিম্নমানের কাজের অভিযোগে রাস্তা নির্মাণে বাধা দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। আজ রায়না-২ ব্লকের পথশ্রী প্রকল্পের বিভিন্ন রাস্তা পরিদর্শনের সময় এই এলাকাও পরিদর্শনে আসেন জেলাশাসক। তখনই এই বেহাল দশা দেখে বেশ ক্ষুব্ধ হন তিনি। রাস্তা খতিয়ে দেখে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে নির্দেশ দেন রাস্তা আবার নতুন করে তৈরি করার জন্য।