School: মিড-ডে মিলে জুটছে শুধুই গুড়-মুড়ি, সরকারি টাকার হিসাবই নেই প্রধান শিক্ষকের কাছে

Purba Bardhaman: পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, মিড ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকঠাক খাবার দেওয়া হচ্ছে না। সকাল ও সন্ধ্যায় দেওয়া হয় গুড়মুড়ি। তাছাড়া আবাসিকদের রোজ একটিই তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেওয়া হয়।

School: মিড-ডে মিলে জুটছে শুধুই গুড়-মুড়ি, সরকারি টাকার হিসাবই নেই প্রধান শিক্ষকের কাছে
গ্রামবাসীদের বিক্ষোভImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Aug 17, 2025 | 11:56 AM

বর্ধমান: সরকারি বরাদ্দ মাসে ১৮০০ টাকা। তবে সেই টাকার নাকি হিসাব দিতে পারেনি হেডমাস্টার বলে দাবি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, টাকার হিসাব দিতে পারেননি একটাই কারণে, কারণ সরকারের বরাদ্দ টাকায় গড়মিল করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিডডে মিলেও নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয়েছে। এরপর বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। হইচই এতটাই বেড়ে যায় যে ঘটনাস্থলে আসতে হয় পুলিশকে।

বর্ধমানের আউশগ্রাম শোকাডাঙা আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। এই স্কুলে ৯৩ জন ছাত্র-ছাত্রী ও ৪ জন শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন। তিরিশ জন ছাত্র-ছাত্রী আবাসিক হিসাবে পড়াশোনা করে এখানে। অভিভাবক ও গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ছাত্র-ছাত্রীদের মাথাপিছু সরকারি বরাদ্দ মাসে ১৮০০ টাকা। কিন্তু সেই টাকার খরচের হিসাব দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় দাস।

পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, মিড ডে মিলে ছাত্র-ছাত্রীদের ঠিকঠাক খাবার দেওয়া হচ্ছে না। সকাল ও সন্ধ্যায় দেওয়া হয় গুড়মুড়ি। তাছাড়া আবাসিকদের রোজ একটিই তরকারি দিয়ে ভাত খেতে দেওয়া হয়।

এই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অভিভাবকরা। তাঁরা দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রধান শিক্ষককে তালাবন্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে প্রধান শিক্ষককে উদ্ধার করে। যদিও প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় দাস নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। এক গ্রামবাসী বলেন, “আমরাই তালা মেরে দিয়েছি। কারণ আমাদের কোনও হিসাব দেখাতে পারেননি। এক বছরের কত খরচা হচ্ছে সেটার হিসাব দিতে পারেনি। শুধুই গুড়-মুড়ি খেতে দিচ্ছে। এক তরকারি ভাত দিচ্ছে। রোজ একই জিনিস। সেই জন্যই বাধ্য হলাম কমিটিতে জানাতে।”