
বর্ধমান: মন্তেশ্বরের পর বর্ধমান! জালে আরেক ইরানি নাগরিক। ধৃত ইরানি নাগরিকের নাম মাজিদ মহম্মদ হোসেনি (৫০)। তাঁকে রবিবার বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে বর্ধমান শহরের কাঁটাপুকুরের একটি হোটেল রুম ভাড়া নিতে যায় ধৃত ইরানি নাগরিক মাজিদ মহম্মদ হোসেনি। হোটেলের ম্যানেজার তাঁর পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে, দেখা যায় তাঁর ভিসার মেয়াদ উর্ত্তীণ হয়ে গিয়েছে। এরপর হোটেল ম্যানেজার বর্ধমান থানায় বিষয়টি জানালে পুলিশ গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
কিন্তু ভাষা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ইরানি নাগরিকের সমস্যা হয়। তারপর অনুবাদ করেপুলিশ জানতে পারে ইরানের তেহেরানে তাঁর বাড়ি। তিনি কলকাতায় ছিলেন। ধৃত পুলিশকে জানায়, দিল্লিতে তিনি থাকেন। দিল্লি থেকে চারচাকা করে কলকাতা এসেছিলেন। এখন তিনি আবার দিল্লি যাচ্ছিলেন। কিন্তু ক্লান্ত বোধ করায় বর্ধমানের একটি হোটেলে রুম নিতে যান।
ফরেনার অ্যাক্টে মামলা রুজু করে (১৪ সি ধারায়) পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্ধমান আদালতের বিচারক তাকে দু’দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ২০ মে ধৃতকে ফের আদালতে পেশ করা হবে।
এর আগে গত শুক্রবার পুলিশ ইরানি নাগরিক বাবা ও ছেলে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতরা হল আলি মাহাবুবি ও তাঁর ছেলে আমির আব্বাস মাহাবুবি। তাঁদের বাড়ি ইরানের তেহেরানের খানিয়াবাদে। জানা যায়, শুক্রবার রাতে একটি চারচাকা গাড়িতে করে বাবা আলি মাহাবুবি ও ছেলে আমির আব্বাস মাহাবুবি পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের হোসেনপুর গ্রামে যান। এরপর তাঁরা হোসেনপুর গ্রামে থাকা ছোট একটি সোনার দোকানেকে টার্গেট করে। খদ্দের সেজে ওই সোনার দোকানে গিয়ে তাঁরা নাকছাবি, কানের দুল সহ নানা সোনার অলঙ্কার দেখতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে দরদামও করতে থাকে তাঁরা দু’জনে ।তারই মধ্যে হঠাৎই সোনার ৩টি নাকছাবি ও ১টি কানের দুল নিয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে জালে ধরা পড়েন তাঁরা।