কাটোয়া: নিয়োগ কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে গরু পাচার। বিভিন্ন ইস্যুতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েট একাধিক নেতা। যার জেরে পথে নেমেছে বিরোধীরা। এই সবের মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিলেন শাসকদলের নেতা তথা কাটোয়ার বিধায়ক ও জেলা তৃণমূল সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বাম আমলে প্রভাব খাটিয়ে কাটোয়া পলিটেকনিক কলেজে চাকরি পাওয়া বাম নেতাদের ছেলে ও আত্মীয়দের চাকরি খেয়ে নেওয়ার হুমকি দিলেন তিনি।
শনিবার পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার একটি পথসভা থেকে বলেন, ‘সিপিএমের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিকের ছেলে, সিপিএমের প্রাক্তন পুর চেয়ারম্যান এর ভাগ্নে ,তৎকালীন সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা নিখিলন্দ স্বরের ছেলে ও সিপিএম নেতাদের আত্মীয়-স্বজনরা ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে চাকরি করছে। আগামী দিনে এদের চাকরি খেয়ে নিতে হবে।’
বস্তুত, সিপিএম আমলে কাটোয়া শহরে তৈরি হয় বেঙ্গল ইনস্টিটিউট অফ পলিটেকনিক কলেজ। সেই কলেজের লেকচারার সিপিএম-এর প্রাক্তন জেলা সম্পাদক অচিন্ত্য মল্লিক। একই সঙ্গে মঙ্গলকোটের বিধায়ক প্রয়াত সাধনা মল্লিকের ছেলে অর্ণব মল্লিক। কাটোয়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শশাঙ্ক চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নে ও নিখিলনন্দ স্বরের ছেলে এই কলেজেরই কর্মী। এছাড়াও একাধিক তাবড়-তাবড় সিপিএম নেতার আত্মীয়-স্বজন, কলেজের অধ্যাপক থেকে শুরু করে বিভিন্ন পদে রয়েছেন। এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের।
এরপরই কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক ও পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি এই কলেজের বেশিরভাগ অধ্যাপক ও কর্মী সিপিএম-এর আমলে স্বজনপোষণের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন।
এ দিকে, এই বিষয়ে অচিন্ত্য মল্লিক জানান যে, এই গোটা অভিযোগ মিথ্যা। সমস্তটাই নিয়ম মেনে হয়েছে। এখন তৃণমূল নেতারা ধরা পড়ে যাচ্ছেন সেই কারণে এমন অভিযোগ করছেন।