শক্তিগড়: কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের ঘটনায় তিন দিন পর শক্তিগড়ে গেল ফরেনসিক টিম। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে চার সদস্যের ফরেনসিক টিম ঢোকে শক্তিগড় থানায়। সেখান থেকে ফরেনসিক টিমের সদস্যরা যান শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবের আমড়ামোড়ের ঘটনাস্থলে। সেখানে টিমের সদস্যরা গাড়ির ভাঙা কাচ ও অকুস্থল থেকে মাটি সংগ্রহ করে। তারপর তাঁরা ফিরে যান শক্তিগড় থানায়। সেখানে রাখা আততায়ীদের ব্যবহার করা নীল রঙা গাড়িটি থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। আব্দুল লতিফের যে সাদা বোলেরো গাড়িতে রাজু ঝাকে হত্যা করা হয়েছিল,তা থেকেও নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা। টিমের নেতৃত্বে রয়েছেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ চিত্রাক্ষর সরকার। থানার বাইরে গাড়ির চতুর্দিক তাঁরা ত্রিপল টাঙিয়ে নেন। বাইরে থেকে সেভাবে কিছুই দেখা যায়নি। আড়াল করেই ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা নমুনা সংগ্রহ করেন।
কিন্তু খুনের তিন দিন পর কেন এল ফরেনসিক টিম? এতদিন অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থেকে, তথ্য প্রমাণ লোপাটের কি কোনও অবকাশ থাকছে না? তদন্তের গতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। এদিকে, বুধবার শক্তিগড় থানায় যান নিহত রাজু ঝার আত্মীয়রাও। তিন জনে মঙ্গলবার দুপুরে দুর্গাপুর থেকে শক্তিগড় থানায় যান। তবে তাঁরা সংবাদমাধ্যমকে শুধু এটুকুই জানিয়েছেন, রাজু ঝার মৃত্যুর শংসাপত্রে তাঁর বাবার নাম ভুল রয়েছে, সেটা ঠিক করতেই তাঁরা এসেছেন।
রাজু ঝা খুনের তিন দিন পেরিয়ে গেলেও, এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠছিল। এবার আরও একটি ঘটনার উল্লেখযোগ্য টুইস্ট। পুলিশ সুপারের দফতরে জিজ্ঞাসাবাদের পরই হঠাৎ করেই উধাও হয়ে গিয়েছেন এই খুনের অন্যতম দুই সাক্ষী ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও আব্দুল লতিফের গাড়িচালক নুর হোসেন। সোমবার দুপুর ৩ টের সময় ব্রতীন মুখোপাধ্যায়কে পূর্ব বর্ধমান পুলিশ সুপারের দফতরে ঢোকানো হয়। আর বিকাল ৪ টে নাগাদ ঢোকানো হয় লতিফের গাড়ির চালক সেখ নুর হোসেনকে। তারপর দীর্ঘক্ষণ জেরা চলে। সূত্রের খবর, প্রথমে দু’জনকে আলাদা করে জেরা করা হয়। শেষে রাত ৮টা৫০ মিনিটে ব্রতীন মুখোপাধ্যায় ও নুর হোসেন পুলিশ সুপারের দফতর থেকে বেরিয়ে যান। তারপর তাঁরা কোথায় গিয়েছেন, তার খোঁজ মেলেনি এখনও।