আততায়ীদের শেষ লোকেশন বিহারের ভাগলপুরে, রাজু ঝা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

Manatosh Podder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Apr 13, 2023 | 12:38 PM

Raju Jha Murder Case: ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের টোল প্লাজাগুলির ফুটেজও নেওয়া হয়েছে। তারপরে তাঁরা জানতে পারেন ভাগলপুরের কাছে একটি টোল প্লাজায় শেষবারের মতো গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে।

আততায়ীদের শেষ লোকেশন বিহারের ভাগলপুরে, রাজু ঝা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ খারিজ

Follow Us

শক্তিগড় : কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা হত্যাকাণ্ডে ১৩ দিন পার। এখনও আততায়ীদের টিকি ছুঁতে পারেননি তদন্তকারীরা। তবে তাঁদের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, আততায়ীদের গাড়ির শেষ লোকেশন পাওয়া গিয়েছে বিহারের ভাগলপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আততায়ীরা রাজুকে এলোপাথরি গুলি করার পর নীল গাড়িতে শক্তিগড় থানা পর্যন্ত যায়। থানা থেকে কিছুটা দূরে নীল গাড়িটি রেখে তারা সাদা রঙের অন্য আরেকটি গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশ বিভিন্ন টোল প্লাজার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই তথ্য হাতে পেয়েছে। ঝাড়খণ্ড এবং বিহারের টোল প্লাজাগুলির ফুটেজও নেওয়া হয়েছে। তারপরে তাঁরা জানতে পারেন ভাগলপুরের কাছে একটি টোল প্লাজায় শেষবারের মতো গাড়িটিকে দেখা গিয়েছে।

এরই মধ্যে পুলিশের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্যও। শক্তিগড়ের ল্যাঙচা হাবের সামনে যে ঝালমুড়ির বিক্রেতার কাছ থেকে মুড়ি কিনে খেয়েছিলেন আব্দুল লতিফের গাড়ি চালক (সেই গাড়িতেই গুলি করে খুন করা হয়েছে রাজু ঝাকে), তাঁর বয়ানেও চাঞ্চল্যকর তথ্য ধরা পড়েছে। ঝালমুড়ি দোকানির বক্তব্য, এক বার নয়, এক-একটা প্যাকেট করে কিনে কিছুক্ষণের মধ্যে তিন বার ঝালমুড়ি কিনেছিলেন ওই গাড়িচালক। তবে জানা গিয়েছে, চালক বাদ দিয়ে আর কেউ ঝালমুড়ি খান নি। সিসিটিভি ফুটেজও তা ধরা পড়েনি। তাহলে প্রশ্ন কেন তিন বার ঝালমুড়ি কিনে গাড়ির বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকলেন চালক? এটা কি পরিকল্পিত? ওঁ কি চাইছিলেন সে সময় গাড়িতে না থাকতে? ঘটনাচক্রে, তিনি যখন ঝালমুড়ি কিনেছিলেন, সে সময়ই দেখা গিয়েছে নীল রঙা গাড়ি করে আসে আততায়ীরা। গাড়ির সামনের আসনের বাঁ দিকে ছিলেন রাজু। তাঁকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

এই ঘটনায় সামনে এসেছে আরও তথ্য। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনায় যোগ থাকতে পারে আরও এক কয়লা মাফিয়া। সূত্রের খবর, খুনের পিছনে আরেক কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খাড়গার শালা বাবু শ্যাম বাহাদুর ঠোকির টিম কাজ করেছে। পাটনা জেল থেকে তিন সার্প শুটার ঠিক করা হয়েছে মোটা টাকায়। কয়লা মাফিয়া নারায়ণ খড়্গার নিজেই দিয়েছে সুপারির টাকা দিয়েছে । খড়্গার মাথায় প্রভাবশালী কোন ব্যক্তির হাত রয়েছে বলে সূত্রের খবর। রয়েছে লতিফ যোগও। তদন্তকারী জানতে পেরেছেন, মোট তিনটি ভাগে কাজ হয়েছে রাজু খুনের ঘটনায়। কথা হচ্ছে, গোটা বিষয়ে তদন্তকারীদের হাতে আসছে, একের পর এক ‘ক্লু’, কিন্তু এত বড় মার্ডার কেসে তদন্তকারীরা এখনও পর্যন্ত কেন কাউকেই গ্রেফতার করতে পারলেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।