Rice: মাথায় হাত মধ্যবিত্তের কপালে, ফের বেড়ে গেল চালের দাম

Manatosh Podder | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 13, 2025 | 9:48 AM

Purba Bardhaman: চাল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, চালের দাম এভাবে এতটা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়াটা তাঁরা ভালভাবে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে খদ্দেরদের বোঝাতেই তাঁরা হিমসিম খাচ্ছেন। খুচরো ব্যবসায় লগ্নি বাড়ছে কিন্তু লাভ বাড়ছে না।

Rice: মাথায় হাত মধ্যবিত্তের কপালে, ফের বেড়ে গেল চালের দাম
চালের দাম বাড়ল
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

বর্ধমান: ফের বাড়ল চালের দাম। মহার্ঘ্য হচ্ছে চাল? কেজি প্রতি চার থেকে ছ’টাকা বাড়লো মিনিকেটের দাম। গত দুই মাসে এনিয়ে গড়ে চালের দাম বাড়ল কেজি প্রতি ১৫ টাকা থেকে ১৮ টাকা। মানুষ খাবে কী? মিডিয়েটারদের জন্য দাম বাড়ছে স্বীকারোক্তি রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের।

শস্যগোলা বর্ধমানে চালের দাম হু হু করে বাড়ছে মিনিকিট চালের দাম,পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গোবিন্দভোগ চালের দামও। বিশেষ করে মধ্যবিত্তের সংসারে যে মিনিকিট চালের কদর বেশি তারই দাম গত মাসে একলাফে ১০-১২ টাকা বেড়েছে। আর তাতেই কপালে পড়েছে ভাঁজ। তবে শুধু মিনিকেট নয়, তারই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গোবিন্দ ভোগ সহ অন্যান্য চালের দামও।  খোদ চাল উৎপাদনের ক্ষেত্র পূর্ব বর্ধমান জেলাতেই চালের দাম হু হু করে বাড়তে থাকায় রীতিমত প্রবল দুশ্চিন্তা দেখা দিল গৃহস্থের হেঁসেলে।

চাল বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, চালের দাম এভাবে এতটা হঠাৎ করেই বেড়ে যাওয়াটা তাঁরা ভালভাবে নিতে পারছেন না। বিশেষ করে খদ্দেরদের বোঝাতেই তাঁরা হিমসিম খাচ্ছেন। খুচরো ব্যবসায় লগ্নি বাড়ছে কিন্তু লাভ বাড়ছে না। তাঁরা জানিয়েছেন, হতে পারে কৃষকের ঘরে ধান নেই। কিন্তু চাল তো বিক্রি করেন রাইস মিলাররা। একইসঙ্গে বড় বড় আড়তদাররা। যদি বাজারে মিনিকিট চালের অভাব থাকে তাহলে চাল আসছে কীভাবে? যেদিকে চালের দাম এগোচ্ছে তাতে বাজার আরও উর্ধ্বমূখী হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। এক দোকানদার বলেন, “রাজনীতির লোকেদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। পকেটে টাকা ঢুকলে হয়ে গেল। একটা ডিম সাড়ে পাঁচ টাকা। ৬৪ টাকা কেজি চালের দাম। কী খেয়ে বাঁচব।”

আবার চাল কিনতে এসে মাথায় হাত ক্রেতাদের। মধ্যবিত্তের পছন্দের মিনিকিট চাল গত দুই মাসে ১২ থেকে ১৮ টাকা বেড়ে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তার ভাঁজ ক্রেতাদের কপালে। মাস দুয়েক আগেও মিনিকিট খুচরো বাজারে বিক্রি হচ্ছিল ৫০ টাকা প্রতিকেজি দরে, বর্তমানে সেই মিনিকিট ৬৪-৬৫ টাকা দরে বিকোচ্ছে। আবার রত্না চাল ছিল ৪৩ টাকা,  গোবিন্দভোগ ছিল ৬৫-৭০ টাকা যা বর্তমানে ১০০ টাকা কেজি দরে বিকোচ্ছে খুচরো বাজারে। এই পরিস্থিতিতে আমজনতা চাইছে সরকারি নজরদারি।
তাহলে কি কোথাও কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে মুনাফা লোটার চেষ্টা হচ্ছে?

রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের ট্রেজারার কাঞ্চন সোম জানান, “রাইসমিল থেকে যে দামে চাল বিক্রি হয় তার থেকে অনেক বেশি দামে বাজারে চাল বিক্রি হচ্ছে। মাঝে বেশ কয়েক হাত হয়ে চাল পৌঁছায় ক্রেতাদের কাছে। সেটাও চালের দাম বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।”

Next Article