মেমারি: শেষ বিধানসভা ভোট হোক বা পরবর্তী সময়, বারবারই নানা সরকারি প্রকল্পের কাজে ‘কাটমানি’ নেওয়ার অভিযোগে উঠেছে তৃণমূলের (Trinamool Congress) নেতাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বারবারই শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে বাম-বিজেপির (Left-BJP) নেতাদের। ‘আমি কথা দিচ্ছি দলের নেতারা কেউ কাটমানি খাবে না। চাঁদ তুলব, কিন্তু বলে তুলব।’ মঙ্গলবার এ কথা বলতে শোনা গেল রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী তথা মন্তেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীকে (Siddiqullah Chowdhury)।
মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হরিসাধন ঘোষের সমর্থনে একটি বড় মিছেলের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকেই হরিসাধনকে পাশে নিয়ে কাটমানি নিয়ে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দিতে দেখা গেল সিদ্দিকুল্লাকে। একইসঙ্গে আদাবাসী কর্মীদের দলে আরও বেশি করে পেতে তিনি বলেন, “এই দল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত ত্যাগ-তিতিক্ষার দ্বারা তৈরি করেছেন। ৭২ টি প্রকল্প সরকার দিয়েছে প্রতিটা মানুষের জন্য। আমি সবাইকে বিশেষভাবে তপসিলি জাতি, উপজাতির ভাই-বোনেদের বলব কী পাননি আমাদের বলুন, কী করতে হবে আমাদের বলুন। আমরা যে চেয়ারে বসব তার পাশের চেয়ার আদিবাসী প্রার্থীদের জন্য ছেড়ে দেব। এ কথা আমি দিয়ে যাচ্ছি। কোনও কথার খেলাপ হবে না।”
এখানেই না থেমে সিদ্দিকুল্লা আরও বলেন, “কোনও ধরণের হিংসার সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকবে না। দলের নেতারা কাটমানি খাবে না। আমরা চাঁদা তুলব বলে তুলব। আলু-পেঁয়াজ দিয়ে খিচুড়ি-ভাত খাব। কিন্তু, কাটমানি কাউকে খেতে দেব না। আজ পর্যন্ত কেউ বলতে পারবেন না কারও কাছে আমি চার পয়সা চেয়েছি।” যদিও এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া এসেছে পদ্ম শিবিরের তরফে। রীতিমতো কটাক্ষের সুরে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে মানুষের কোনও সংযোগ নেই। শুধু কাটমানি ও তোলাবাজির সঙ্গে সংযোগ আছে। তাই মন্ত্রী এখন প্রতিজ্ঞা করছেন কাটমানি তোলা যাবে না।”