STF: একে দেখুন, মহিলা সেজে কথা বলতেন সেনার সঙ্গে, তারপরই…, বর্ধমানের রাকেশের বিরাট কীর্তি ফাঁস

India-Pakistan: সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এবং রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স একাধিকবার তদন্তে নেমে দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ভারতীয় সেনা ও টেলিকম সংস্থার কর্মীদের টার্গেট করছে।

STF: একে দেখুন, মহিলা সেজে কথা বলতেন সেনার সঙ্গে, তারপরই..., বর্ধমানের রাকেশের বিরাট কীর্তি ফাঁস
রাকেশ গুপ্তাImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 08, 2025 | 11:22 PM

পূর্ব বর্ধমান: পহেলগাঁও হামলার পর থেকে পাকিস্তানের সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ভারত। এ দেশে থেকে যারা-যারা পাকিস্তানে গোপন তথ্য যারা পাচার করছে তাদের গ্রেফতার করছে গোয়েন্দারা। এবার সেই রকমই চরবৃত্তির অভিযোগে দুই পাকিস্তানি চরকে গ্রেফতার করল বেঙ্গল এসটিএফ (STF)। ধৃতদের নাম মুকেশ রাজক এবং রাকেশ গুপ্তা।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা পূর্ব বর্ধমানের মেমারি, বর্ধমান সহ বিভিন্ন জেলার দোকান থেকে বেনামে সিম কার্ড তুলত। সেই মোবাইল নম্বরগুলিতে হোয়াটসঅ্যাপ খোলার জন্য গুপ্তচর সংস্থার হাতে পাঠাত। এমনকী, হোয়াটসঅ্যাপের জন্য ওটিপি শেয়ার করত তারা।

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মোবাইল নম্বরগুলি হানিট্র্যাপের কাজে ব্যবহার হত। ভারতীয় সেনাবাহিনীর আধিকারিকরা ছিলেন টার্গেটে। মহিলা সেজে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল অভিযুক্তরা। এই হানিট্র্যাপের শিকার ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাচার করা হত বলে খবর।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, শনিবার গভীর রাতে বর্ধমানের দু’টি পৃথক জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে এসটিএফ। মুকেশকে এক নার্সিংহোম থেকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে রাকেশ ধরা পড়ে মেমারির একটি ভাড়া বাড়ি থেকে।

সম্প্রতি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলি এবং রাজ্যের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স একাধিকবার তদন্তে নেমে দেখে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ভারতীয় সেনা ও টেলিকম সংস্থার কর্মীদের টার্গেট করছে। এই হানিট্র্যাপের শিকার সেই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ধাপে ধাপে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা পাকিস্তানের বিভিন্ন সংস্থার কাছে পাচার করা হয়।

প্রথমে পাকিস্তানি মহিলা এজেন্ট বা ফেক আইডি ব্যবহার করে একজন পুরুষ ‘প্রেমিকা’ সেজে সোশ্যাল মিডিয়ায় যোগাযোগ করত। তারপর কথোপকথনের মাধ্যমে গোপনীয়তা তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপে চলত কথাবার্তা। এরপর ভিডিয়ো কল, ছবি, আর তারপর তথ্য আদায়। অনেক সময় পয়সার লোভ দেখিয়েও তথ্য নেওয়া হত বলে খবর।

এ দিকে চর সন্দেহে ধৃত রাকেশ গুপ্তা বর্ধমানের থানার উল্টো দিকের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিল। নার্সিংহোমের ম্যানেজার প্রাণকৃষ্ণ ঘোষ জানান, ওই ব্যক্তি ৩০ জুন হার্নিয়া চিকিৎসার জন্য নার্সিংহোমে ভর্তি হয়েছিল। তার পেটে ব্যথা, বমি সহ নানা উপসর্গ ছিল। এক মেডিসিন ডাক্তারের অধীনে তিনি ভর্তি হন।

তিনি বলেন, “৩ জুলাই এসটিএফের টিমের আধিকারিকরা তার কাছে এসে নিজেদের পরিচয় দেন। এবং রাকেশ গুপ্তাকে জেরা করার কথা বলেন। জেরার পর বর্ধমান থানার আইসি জানান রোগী ছাড়া পাওয়ার আগে যেন পুলিশকে জানানো হয়। চারদিকে এসটিএফ পাহারায় থাকলেও কোনও অসুবিধা করেনি। সেই মতো ৪ জুলাই রাকেশ ছুটি পেতেই নার্সিংহোমের বাইরে বেরতেই তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এসটিএফ।

ওই নার্সিংহোম সূত্রে খবর, অভিযুক্তকে দেখতে তার বাবা, দাদা ও এক মহিলা আসতেন। তিনি তাঁর প্রেমিকা বলেই খবর। এই দুই যুবকই এক ফ্ল্যাটে ভাড়া নিয়ে থাকতেন।