পূর্বস্থলী: আচমকা গরম হয়ে গিয়েছিল বাড়ির মেঝের একটা নির্দিষ্ট অংশ। ধীরে ধীরে বাড়ছিল তাপমাত্রা। পা দিলেই রীতিমতো ছ্যাঁকা খাওয়ার অবস্থা। কদিন আগেই এই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল বাঁকুড়ার (Bankura) ছাতনা ব্লকের ভুঁইয়াপাড়ায়। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল গোটা এলাকায়। এবার আচমকা ধসে যাচ্ছে মাটি, তৈরি হচ্ছে গভীর সুড়ঙ্গ। একটা, দুটো নয়, একেবারে ১০ থেকে ১২টা সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে গিয়েছে রাতারাতি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা দেখতে পাওয়া গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মুসকিম পাড়া পঞ্চায়েতের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে।
কীভাবে, কেন তৈরি হচ্ছে সুড়ঙ্গ জানা নেই কারও। ব্য়াপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আশঙ্কা গ্রামের আরও বিভিন্ন জায়গায় মিলতে পারে। এলাকাবাসীদের কারও কারও মতে এর পিছনে অলৌকিক কিছু রয়েছে। ভূতুড়ে কাণ্ডেই এমন সুড়ঙ্গ সৃষ্টি হচ্ছে গ্রামে। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা দিন দিন যেভাবে হঠাৎ হঠাৎ গভীর সুড়ঙ্গ তৈরি হয়ে যাচ্ছে তাতে শীঘ্রই তাঁদের বসত বাড়ি, চাষের জমি মাটির অতলে চলে যাবে। চিন্তা বেড়েছে গ্রামের শিশু, মাঠে থাকা গবাদি পশুদের নিয়ে। খেলতে খেলতে কেউ সুড়ঙ্গে পড়ে গেলে কী হবে তা ভেবেই রাতের ঘুম ছুটেছে গ্রামবাসীদের।
গ্রামের বাসিন্দা আসিফ জামাল বলেন, “গ্রামের বহু জায়গাতেই এই গর্ত দেখা যাচ্ছে। আগে কখনও এ ধরনের ঘটনা দেখিনি। কীভাবে এ গর্ত হচ্ছে তা আমাদের অজানা। একটা গর্ত প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর। গ্রামের সকলেই খুব আতঙ্কে রয়েছেন। রাতে অনেকেই পাড়ায় টহল দিচ্ছেন। গর্তের সাইজ আরও বাড়ছে কি না সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।”
যদিও এ প্রসঙ্গে ভূতত্ত্ববিদ প্রফেসর প্রলয় মণ্ডলের অন্য মত রয়েছে। তাঁর দাবি, এই এলাকায় গ্রীষ্মকালে চাষাবাদের পরিমাণ প্রচুর বেড়ে যায়। বহু জায়গাতেই দেদার তোলা হয় ভূগর্ভস্থ জল। চলে মোটর, দমকল। তারফলেই মাটির উপরের দিকের বহু স্তর আলগা হয়ে পড়ে। সে কারণে এই ধরনের ধসের দেখা মিলতে পারে।