বড়শুল: বন্ধুদের ডাকেই ঘর ছেড়েছিল বছর চোদ্দর আবিদ হোসেন। কিন্তু, তারপর থেকে আর ঘরে ফেরেনি আবিদ। এদিকে নিখোঁজ ছেলের সন্ধানে বৃহস্পতিবারই পুলিশের (Police) দ্বারস্থ হয়ে পরিবার। শেষে দামোদরের (Damodar River) জল থেকে উদ্ধার তাঁর দেহ উদ্ধার হতেই ঘনাচ্ছে রহস্য। আবিদের পরিবারের অভিযোগ বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্ধুরা ফোন করে আবিদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর চার বন্ধু মিলে বাইক নিয়ে দামোদরের শম্ভুপুর এলাকায় ঘুরতে যায়। শুক্রবার দামোদরের জল থেকে উদ্ধার হয় আবিদের দেহ। পরিবারের সদস্যদের দাবি, বন্ধুরাই তাঁকে খুন করে দোমোদরের জলে ফেলে দিয়েছে। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বড়শুলে।
আবিদ বর্ধমান সি এম এস স্কুলের নবম শ্রেণিতে পড়ত বলে জানা যাচ্ছে। তার বাড়ি বড়শুলের বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়ায়। ইতিমধ্যেই এ ঘটনায় শক্তিনগর থানায় অভিযোগ জানিয়েছে আবিদের পরিবার। তারপরই মৃত্যুর রহস্য সন্ধানে জোরদার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আবিদের মৃতদেহও ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর বিষয়ে ধোঁয়াশা বেশ খানিকটা কাটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
মৃতের মা কোহিনুর বেগম বলেন, “কালকে টিউশন থেকে ফিরে ঘরেই ছিল। তারপর ওর বন্ধুরা ওকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। ওর যাওয়ার বিশেষ ইচ্ছা ছিল না। আমাকে বলল মা একটু আসছি। তবে এখানে আসবে বলেও আসেনি। খুন বলেই আমাদের সন্দেহ। নদীতে তো জল বিশেষ নেই যে জলে ডুবে মারা যাবে। বন্ধুদের মধ্যে কী হয়েছিল তা আমরা জানিনা।” মৃতের দিদি আফরিন খাতুন বলেন, “সাড়ে নটা নাগাদ প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরে। তারপর বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। দুপুর হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় ২টোর সময় থেকে আমরা ফোন করতে থাকি। ফোন বন্ধ ছিল। ওর বন্ধুদের ভাইয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞাস করলেও ওরা কোনও উত্তর দিতে পারেনি শুরুতে।”