
বর্ধমান: উচ্চ-মাধ্যমিক প্রথম হয়েছিলেন। গর্বিত হয়েছিলেন বাবা-মা। ছেলেটা আরও একবার মুখ উজ্জ্বল করল মা-বাবার, সঙ্গে গোটা বাংলার। উচ্চ-মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার পর আরও একবার টপ করলেন রূপায়ণ পাল। মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষায় (NEET 2025) দেশে কুড়িতম স্থান অধিকার করেছেন বর্ধমানের এই ছাত্র।
রূপায়ন জানিয়েছেন, অষ্টম শ্রেণি থেকে তিনি বেসরকারি সংস্থায় প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছিলেন। এই বছর উচ্চ-মাধ্যমিকে প্রথম হওয়ার পর এই ছাত্র জানিয়েছিলেন চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে চান। ভর্তি হতে চান দিল্লি এইমসে। তবে পড়াশোনার শেষ করার পর বাংলাতেই আবার ফেরার ইচ্ছে রয়েছে তাঁর।
বস্তুত, উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০০-র মধ্যে ৪৯৭ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান দখল করে ছিলেন রূপায়ণ। বর্ধমান সিএমএস হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। পূর্ব বর্ধমান জেলার এই কৃতী বরাবরই মেধাবী। স্কুলেও ভাল রেজাল্ট করতেন। বাবা-মা, দু’জনেই ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। তাঁরা জানিয়েছেন, রূপায়ণের অধিকাংশ সময় বইয়ে মুখ গুঁজে কাটত ঠিকই, কিন্তু সুযোগ বুঝেই ঢুঁ মারতেন গোয়েন্দা গল্পের দুনিয়ায়। অবসরে চোখ রাখতেন খেলার চ্যানেলেও। ভিন্ন ভিন্ন জগতের দুনিয়ায় মগ্ন থেকেও এই কৃতীর স্বপ্ন ছিল চিকিৎসক হওয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণের দিকে আরও এক ধাপ এগোল।
কৃতী এই ছাত্র জানিয়েছেন, বাংলা মাধ্যমের পড়ুয়াদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তাঁরাও সর্বভারতীয় পরীক্ষায় সাফল্য পাচ্ছে। রূপায়ন পাল বলেন, “সারা দেশে আমি ২০ হয়েছি। বাংলায় প্রথম। ভাবতেই পারিনি এই রেজাল্ট হবে। ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছাই আমার বরাবর রয়েছে। আমি সরাসরি মানুষের সংস্পর্শে থাকতে পারব। আমি অনেক আগে থেকেই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় বসা শুরু করেছি। পরের জেনারেশনকে বলব, ফুল ফোকাসের সঙ্গে কাজ করো। শিক্ষকরা যা বলছেন সেটা প্র্যাকটিস করলে ভাল রেজাল্ট হবেই।”