Memari College: বিলাসবহুল বাড়ি থেকে একাধিক ফ্ল্যাট কী নেই! ভাইরাল হওয়া সেই প্রিন্সিপ্যালের নামে পড়ল পোস্টার

Memari College: বুধবার সকালে কোথাও চাকরি প্রার্থী আবার কোখাও মেমারি-বাসীর নামে কলেজ ক্যাম্পাসেই পড়েছে পোস্টার। সেখানে দাবি করা হয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে মেয়ে ও জামাইয়ের চাকরি করে দিয়েছেন প্রিন্সিপাল।

Memari College: বিলাসবহুল বাড়ি থেকে একাধিক ফ্ল্যাট কী নেই! ভাইরাল হওয়া সেই প্রিন্সিপ্যালের নামে পড়ল পোস্টার
পোস্টার পড়ল কলেজ চত্বরেImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 06, 2023 | 7:51 PM

বর্ধমান: বছর খানেক আগে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছিল, পড়ুয়াদের সঙ্গে উদ্দাম নাচে ব্যস্ত অধ্যক্ষ। মেমারি কলেজের সেই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে এবার পড়ল পোস্টার। অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তীর সম্পত্তি নিয়ে এবার উঠল প্রশ্ন। সেই পোস্টারে সিবিআই তদন্তেরও দাবিও জানানো হয়েছে। দেবাশিস চক্রবর্তীকে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে উল্লেখ করে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অধ্যক্ষ। তাঁর দাবি, নাচের ভিডিয়ো ভাইরাল করার সময় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছিল, আর এবারও তাঁর বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আদতে তিনি কলেজের ভাল চান বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ।

বুধবার সকালে কোথাও চাকরি প্রার্থী আবার কোখাও মেমারি-বাসীর নামে কলেজ ক্যাম্পাসেই পড়েছে পোস্টার। সেখানে দাবি করা হয়েছে, প্রভাব খাটিয়ে মেয়ে ও জামাইয়ের চাকরি করে দিয়েছেন প্রিন্সিপ্যাল। আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, অধ্যক্ষের নাকি ফ্ল্যাট ও তিনতলা বিলাসবহুল বাড়ি রয়েছে। শুধু তাই নয়, মেয়ে ও জামাইয়ের নামে একাধিক ফ্ল্যাট, বাস, লরি রয়েছে। মেয়ে-জামাই একাধিক জমির মালিক বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এই পোস্টারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি কলেজে।

এই ঘটনার পর দেবাশিস চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন মেমারি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুপ্রিয় সামন্ত। তাঁর অভিযোগ, ‘ প্রিন্সিপ্যাল অগণতান্ত্রিক লোক। কলেজের মাঠ উৎসবের জন্য দেড় লক্ষ টাকা চেয়েছেন। আমাকে পাত্তা দেননি গতবার। উনি ঘুষ চান, দুর্নীতির সঙ্গে আছেন, টাকা চান। ওঁর অন্যায়ের বিরুদ্ধে যে ছাত্রছাত্রীরা সরব হয়েছেন, তাণদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে মেমারি কলেজের অধ্যক্ষ দেবাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, কয়েকজন মিলে কলেজে একটা অরাজকতা সৃষ্টির চক্রান্ত করছে। তাঁর সঙ্গে পেরে উঠতে না পেরেই নাকি এই ধরনের নোংরামির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। তাঁকে জোর করে নাচতে বাধ্য করা হয়েছিল বলে দাবি করেছেন অধ্যক্ষ। একটা চক্রান্ত বলেই মনে করছেন তিনি।