পূর্ব বর্ধমান : তাঁদের সম্পর্কের কথা জানতেন আত্মীয়-পরিজনেরা। তবে তাঁদের মধ্যে মনোমালিন্যের কথা অনেকেই জানতেন না। আর সেই প্রেমিকাকে দায়ী করেই আত্মঘাতী হলেন যুবক। পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরের ঘটনা। মৃতের নাম বিক্রম চন্দ্র(২২)। মন্তেশ্বরের পিপলন গ্রামের বাসিন্দা ওই যুবকের দেহ উদ্ধার হয়েছে শুক্রবার সকালে। থানায় অভিযোগ দায়ের না হলেও স্বতঃপ্রণোদিতভাবে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ওই যুবক তাঁর সুইসাইড নোটে লিখে গিয়েছেন, ‘আমার শ্রাদ্ধে প্রেমিকাকে নিমন্ত্রণ করবে,বলবে ভাল ছেলে দেখে বিয়ে করতে।’ বিয়ে করা নিয়ে প্রেমিকার সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।জানা গিয়েছে এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল বিক্রমের। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই চিনতেন একে অপরকে। পরে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিক্রম বেঙ্গালুরুতে চলে যায় মেডিক্যাল ট্রেনিং নিতে। পুজোয় বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। পুলিশ সূত্রের খবর, বাড়ি ফেরার পর থেকেই প্রেমিকা তাঁকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দিতে থাকেন। এত দ্রুত বিয়ে না করতে চাইলে প্রেমিকা আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। তার জেরেই বিক্রম আত্মহত্যা করেন বলে মনে করা হচ্ছে।
সুইসাইড নোটে বিক্রম মা-কে লিখেছেন, তাঁর প্রেমিকা তাঁকে আত্মহত্যার কথা বলে হুমকি দিতেন। প্রেমিকা আত্মঘাতী হলে সেই দায় নিয়ে জেলে যেতে চান না তিনি। পরিবারকেও অসম্মানিত হতে দিতে পারনে না তিনি। তাই এই কাজ করছেন।
বিক্রমের আত্মীয় দাবি করেন, যুবতীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা তাঁরা জানতেন। সম্প্রতি বাড়ি ফিরে সবার সঙ্গে স্বাভাবিক ব্যবহারই করছিলেন বিক্রম। পড়ার জন্য নিজের ঘরে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর কোনও সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙা হয়। ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ঝুলন্ত দেহ।