Kalna: ‘স্যর কমোডে হয় না…’, বলেই পুলিশকে ভেলকি দেখাল জেলে থাকা অভিযুক্ত
Kalna: দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও কোনও সাড়া না পেয়ে পুলিশ বাথরুমে ঢুকে দেখে উধাও সুজয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এসকজিস্ট ফ্যান লাগানোর জায়গা দিয়ে পালিয়েছে আসামি।তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম বিশ্বাস বিশ্বাস বলেন, "পেট ব্যথা নিয়ে পুলিশের সেল থেকে একজন এসেছিলেন। চিকিৎসা চলছিল।
কালনা: অভিযুক্ত বলেছিল তাঁর কমোডে হয় না। সমস্যা আছে। সেই মতো পুলিশ আধিকারিকরা নিয়ে গিয়েছিলেন অন্য টয়লেটে। ব্যাস! কেল্লাফতে…বাথরুমের বন্ধ দরজার বাইরে যখন অভিযুক্তকে পাহারা দিচ্ছেন সেই সময় তিনি ব্যস্ত নিজের কার্যসিদ্ধিতে।
কী ঘটেছে?
বাইক চুরির অভিযোগে কয়েকদিন আগে ধরেছিল পুলিশ। জেলেই ছিলেন অভিযুক্ত। সোমবার আচমকা পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পগাড় পাড়। শৌচালয় থেকে পালিয়ে গেলেন তিনি। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সুজয় মল্লিক। বাইক চুরিতে অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি।
বেশ কয়েকদিন ধরেই পুলিশের হেফাজতেই ছিলেন। সোমবার শারীরিক অসুস্থতা থাকায় তাঁকে ভোর নাগাদ কালনা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে খাবার খাওয়ার পর তিনি জানান বাথরুম যাবেন। অভিযুক্তকে পুলিশ সেলের পাশের একটি বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। বাইরে সে সময় পাহারায় ছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা।
দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও কোনও সাড়া না পেয়ে পুলিশ বাথরুমে ঢুকে দেখে উধাও সুজয়। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এসকজিস্ট ফ্যান লাগানোর জায়গা দিয়ে পালিয়েছে আসামি।তার খোঁজে চলছে তল্লাশি। অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌতম বিশ্বাস বিশ্বাস বলেন, “পেট ব্যথা নিয়ে পুলিশের সেল থেকে একজন এসেছিলেন। চিকিৎসা চলছিল। পুলিশ পাহারায় ছিলেন তিনি। পুলিশ সেলে আলাদা করে রাখা হয়। আজ দুপুরে পটি পেয়েছিল ওঁর। তখন ওকে বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ও জানায় যে স্যর কমোডে পটি হবে না। তাই পাশের পে অ্যান্ড ইউজে নিয়ে যাওয়া হয়। তখনই জানলা দিয়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।”