Burdwan: হ্যাশবোল্টে নাইটি ঝুলিয়ে ঘরের ভিতরে এই কাণ্ড! ‘পাড়ায় এমন কখনও ঘটেনি’, বলছেন স্থানীয়রা

Burdwan: বড় নীলপুর এলাকার মধ্যপাড়ার বাড়িতে একাই থাকেন গীতা পাল। পেশায় তিনি নার্স। পুলিশ হাসপাতালের সিস্টার ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে অবসর নেন। তারপর ২০১৭ সাল থেকে বর্ধমান শহরের একটি নার্সিংহোমে সিস্টার ইনচার্জ হয়ে আছেন।

Burdwan: হ্যাশবোল্টে নাইটি ঝুলিয়ে ঘরের ভিতরে এই কাণ্ড! পাড়ায় এমন কখনও ঘটেনি, বলছেন স্থানীয়রা
বড় নীলপুর এলাকার মধ্যপাড়ার বাড়িতে একাই থাকেন গীতা পাল।Image Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 27, 2024 | 10:45 PM

পূর্ব বর্ধমান: সিস্টারের কাজ করেন নার্সিংহোমে। রবিবার বাদ দিয়ে রোজই বেরিয়ে যান ওই মহিলা। ফিরতে ফিরতে বিকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা। তবে এলাকা খুবই নিরাপদ বলেই জানতেই এতদিন। তবে বৃহস্পতিবারের পর থেকে উদ্বিগ্ন, আতঙ্কিত বর্ধমানের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়নীলপুর এলাকার বাসিন্দা গীতা পাল। দিনেদুপুরে বাড়ির তালা ভেঙে ঢুকে সর্বস্ব নিয়ে গিয়েছে চোর।

বড় নীলপুর এলাকার মধ্যপাড়ার বাড়িতে একাই থাকেন গীতা পাল। পেশায় তিনি নার্স। পুলিশ হাসপাতালের সিস্টার ছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে অবসর নেন। তারপর ২০১৭ সাল থেকে বর্ধমান শহরের একটি নার্সিংহোমে সিস্টার ইনচার্জ হয়ে আছেন।

স্বামী নেই, বাড়িতে একাই থাকেন তিনি। গীতাদেবী বলেন, “আমি সকালে বেরিয়ে যাই। বিকাল, সন্ধ্যায় ফিরি। আজ বিকালে এসে দেখি দরজার হ্যাশবোল্টে একটা নাইটি ঝোলানো। আমি দরজা খুলতে গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা। সব কিছু তছনছ করা। আলমারি থেকে ঠাকুরের বাসন, গয়না, শাড়ি কিছুই ছাড়েনি।”

গীতাদেবীর ভাশুরের ছেলে প্রণব পাল পাশেই থাকেন। তিনি বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে উনি এখানে। নীলপুরের আমরা আদি বাসিন্দা। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে দেখছেন এই অবস্থা। এরপরই আমাকে ফোন করলে আমি ছুটে আসি। আমাদের এই গলিতে কখনও এরকম ঘটনা ঘটেনি। সোনার গয়না, আলমারি থেকে শাড়ি, ঠাকুরের বাসনপত্র নিয়ে গিয়েছে। এরকম ঘটনা কীভাবে ঘটল মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে। বর্ধমান থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন গীতা পাল। তবে দিনেদুপুরে এমন ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তিনি।