
বর্ধমান: বিডিও অফিসে ধুন্ধুমার। বিডিও-কে গালিগালাজের পাশাপাশি পঞ্চায়েত উপপ্রধানকে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে।
অভিযোগ, আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি আহম্মদ সামস তাবরিজ ওরফে অরূপ মির্ধা বিডিও অফিসে সদলবলে ডেপুটেশন দিতে যান। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মীদের বেআইনি ভাবে বদলি করা হচ্ছে এই অভিযোগ নিয়ে। অভিযোগ বিডিও চিন্ময় দাসকে রীতিমতো শাসানি দিচ্ছিলেন তিনি। ওই সময়ে বিডিওর ঘরে ছিলেন ভাল্কী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাদিরুল সেখ। তাঁর চোখে আগ্নেয়াস্ত্র গুঁজে দিয়ে, চেয়ার তুলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে।
মারধরে গুরুতর জখম হন উপপ্রধান সাদিরুলু । পাশাপাশি স্থানীয় এক যুবক সুমন ঘোষও জখম হন।জখম দুজনকেই প্রথমে উদ্ধার করে জামতাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূলু কংগ্রেসের সভাপতি সেখ আব্দুল লালন এই ঘটনায় সরাসরি দায়ী করেন আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডারকে। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনে ব্লকের কর্মী সমর্থকরা অভেদানন্দ থান্ডারকে বিপুল ভোটে জয়ী করলেও বর্তমানে তিনি দলের ক্ষতিকারক কিন্তু লোকজনকে নিয়ে ঘুরছেন। যারা দলের কেউ নয়, তাঁদের সঙ্গী করেই বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার এলাকায় অশান্তি করছেন। এর আগে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মমতা বারুইকে মারধর করা হয় বিধায়কের নির্দেশে।
এবার পঞ্চায়েতের উপপ্রধান আক্রান্ত হল।অথচ বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার আউশগ্রাম ১ নম্বর ও গুসকরা পৌরসভা এলাকায় নির্বাচনে হেরেছেন। কিন্তু আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকে তিনি বিপুল ভোটে জয়ী হন। তাহলে তিনি কেন এরকম করছেন বলে প্রশ্ন তোলেন।পাশাপাশি তিনি বলেন, “এতে আমাদের দলের কর্মীদের মনবল নষ্ট হচ্ছে। আমরা সব মুখ বুঝে সহ্য করছি।দলীয় নেতৃত্বকে বলব গোটা বিষয়টা।”
আহত ভাল্কি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সাদিরুল সেখ বলেন, “বিডিওকে চেয়ার তুলে মারধরের করতে যাচ্ছিল অরূপ মির্ধা। তখন আমি বিডিওর ঘরে ঢুকতেই আমাকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মারধর করে।প্রথমে আমার বাঁ চোখে আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকিয়ে দেয় অরূপ। তারপর চেয়ার তুলে আমাকে মারধর করে।” এই ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত আহম্মদ সামস তাবরিজ পলাতক।
এই বিষয়ে বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন, “আমি কলকাতায় স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে এসেছি। শুনেছি ওখানে অশান্তি হয়েছে। বিশদে বলতে পারব না।”