TMC Group Clash: বালি খাদানের দখলকে কেন্দ্র করে জোড়া ফুলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, উত্তপ্ত বর্ধমান

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 02, 2022 | 3:46 PM

Bardhaman: এদিকে, গোটা ঘটনা অস্বীকার করে বিজেপির উপর দোষ চাপিয়েছে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী।

TMC Group Clash: বালি খাদানের দখলকে কেন্দ্র করে জোড়া ফুলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ, উত্তপ্ত বর্ধমান
বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

বর্ধমান: বালিখাদানের দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ। যার জেরে উত্তপ্ত গোটা এলাকা। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এক তৃণমূল কর্মী। আহত তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ পান্নালাল ওরফে ফটিক। বর্ধমানের ইদিলপুর এলাকার ঘটনা।

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার বিকালে। জানা গিয়েছে, ওইদিন বিকেলে বর্ধমানের সদরঘাট এলাকায় পিকনিক করতে গিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সাময়িকভাবে সেই অশান্তি মিটে গেলেও রবিবার সকালে শেখ পান্নালাল নামে এক ব্যক্তি বালিখাদান গেলে তাকে মারধর করা হয়। তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালায় অপরপক্ষ। সেই গুলি পায়ে লাগে বলে জানিয়েছেন শেখ পান্নালাল। বর্তমানে তিনি এখন বর্ধমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পাশাপাশি ওই ব্যক্তির পরিবারকে লক্ষ করে বোমা ছোড়া হয় বলেও জানিয়েছে পান্নালালের পরিবারের। এলাকা দখলের জন্য তার ছেলের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শেখ পান্নালালের মা মদিনা বিবি। যদিও গোষ্ঠী সংঘর্ষর ঘটনা উড়িয়ে দিয়ে তার দাবি যারা গুলি চালিয়েছে তারা বিজেপি।

এদিকে যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই বালি ব্যবসায়ী রাজনাথ চৌধুরী জানান, “শেখ ফটিক রবিবার সকালে দলবল নিয়ে আমার ভাই অরুণ চৌধুরীর বাড়িতে হামলা করে। এই হামলার পাশাপাশি আমার বাড়িতেও হামলা করা হয়। একই সঙ্গে রাজনাথ চৌধুরীর একটি মোটর সাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। শেখ পান্নালাল নিজেই আমাদের লক্ষ করে গুলি চালিয়েছে।” তবে পান্নালাল কিভাবে গুলিবিদ্ধ হল সেবিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে তারা।

ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় বর্ধমান থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে এলাকার মানুষজন। গোটা এলাকাজুড়ে চলছে পুলিশি টহলদারি।

প্রসঙ্গত, গতকাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওড়ে শাসকদলের পতাকা। যার কারণে শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের রানাপাড়া রক্ষাকালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ে যায় হুলস্থুল। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। স্কুলের ভিতর কীভাবে একটি রাজনৈতিক দলের পতাকা তোলা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিভিন্ন মহল।

বিজেপির মতে, রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকেই গোল্লায় পাঠিয়েছে এই সরকার। লকডাউন কাটিয়ে স্কুল খোলার পর সেগুলি সাফাই করতে গিয়ে যে সব জিনিস পাওয়া গিয়েছে, তাতে স্পষ্ট শাসকদল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে নিজেদের দলীয় কার্যালয় মনে করে। সেক্ষেত্রে দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে স্কুলে দলীয় পতাকা ওড়ানোও তারই অংশ!

যদিও এই ঘটনায় বেশ বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসকদল। একাংশ বলছেন, এমনটা হওয়ার কথা নয়। হয়ে থাকলে অন্যায় হয়েছে। আবার কারও মত, স্কুল বন্ধ থাকায় সেখানে দলীয় কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে পতাকা লাগালেও লাগিয়ে থাকতে পারে। তা খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে সাহিত্যিক অমর মিত্র

 

Next Article