
মেমারি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শুক্রবার দুর্গাপুরে আসছেন। আর এদিন সকালেই পাশের জেলা পূর্ব বর্ধমান থেকে পুরোহিতদের নিয়ে দিঘার জগন্নাথ ধামে রওনা দিল তৃণমূল। ৭০ জন ব্রাহ্মণকে নিয়ে দিঘা রওনা দিলেন মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে কটাক্ষ করল বিজেপি।
মাস খানেক আগে পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থেকে দিঘা পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থা(এসবিএসটিসি)-র বাস চালু হয়। ওইদিনই মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্যানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, তিনি এলাকার পুরোহিতদের দিঘার জগন্নাথ ধাম ঘুরতে নিয়ে যাবেন। এদিন সকালে প্রায় ৭০ জন পুরোহিতকে নিয়ে বাস রওনা হল মেমারি থেকে দিঘার উদ্দেশে। তৃণমূল নেতার উদ্যোগে বিনা পয়সায় দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যেতে পেরে খুশি পুরোহিতরা।
পুরোহিতদের দিঘা নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়ে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বলেন, “পুরোহিতরা অনুরোধ করেছিলেন। সেইজন্য তাঁদের দিঘা নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিই। তাঁরা সেখানে গিয়ে মন্দিরে পুজো দেবেন। আর শনিবার রাতে তাঁদের নিয়ে বাস সেখান থেকে রওনা দেবে।”
দিঘার জগন্নাথ মন্দির নিয়ে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, তিনি দিঘায় জগন্নাথ ধাম স্থাপন করবেন। কথা রেখেছেন। প্রভু জগন্নাথ দেবের মন্দির যত্রতত্র হবে। আগামিদিনে আরও হবে। এটা শুধু এক জায়গায় থাকবে,তা হয় না। প্রভু জগন্নাথ দেব আশীর্বাদ করেছেন, তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘায় জগন্নাথ ধাম করতে পেরেছেন।”
মেমারি ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নিত্য়ানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়
তৃণমূল নেতার এই উদ্যোগ নিয়ে কটাক্ষ করল বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আজ দুর্গাপুরে সভা করতে আসছেন। সেদিনই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ৭০ জন পুরোহিতকে দিঘায় নিয়ে যাচ্ছেন। আসলে তৃণমূল বার্তা দিতে চাইছে, তারা হিন্দুদের সঙ্গে রয়েছে। কিন্তু, একুশের নির্বাচনের পর কীভাবে হিন্দুদের উপর অত্যাচার হচ্ছে, তা সবাই জানেন। এই ৭০ জন ব্রাহ্মণ সেইসব ঘটনা জানেন কি না, জানি না। তাঁরা ভয়ে যাচ্ছেন, না ভক্তিতে যাচ্ছেন জানি না। দিঘায় যেটা রয়েছে, সেটা স্থাপত্য। জগন্নাথ দেবের মন্দির তো পুরীতে। তৃণমূল নেতা চাইলে পুরীতে পুরোহিতদের নিয়ে যেতে পারেন। দিঘায় তো মানুষ এমনই ঘুরতে যান।”