পূর্ব বর্ধমান: সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) তরফে বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খোকন দাস। রবিবার, বর্ধমান পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের তরফ থেকে লকডাউনে দরিদ্র মানুষদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণের অনুষ্ঠানে এসে বিরোধী শক্তি বিজেপির বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন বিধায়ক। তাঁর সেই মন্তব্যকে ঘিরে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এদিনের অনুষ্ঠানে তৃণমূল (TMC) নেতা বিরোধী শিবিরকে তোপ প্রকাশ্য জমায়েতে বলেন, “একটা দল নির্বাচনে জিতেছে। আর অন্য আরেকটা দল মনে করেছিল নানা কৌশলে জেতা যায়। সাংবাদিকদের টাকা দিয়ে, মদের বোতল দিয়ে কিনতে গিয়েছিল বিজেপি। তা আর পারল কোথায়! মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নকে ঠেকিয়ে রাখতে পারল কই! আজ, মুখ্য়মন্ত্রী যা বাংলার জন্য করেছেন তা আর কোনও দল করতে পারেনি।”
উল্লেখ্য, বার্ক বিতর্কের পর থেকেই ‘গোদি মিডিয়া’, ‘পক্ষপাতদুষ্ট মিডিয়া’ এই ধরনের নানা তকমা উঠে আসে সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য় করে। সাম্প্রতিকালে তৃণমূল সাংসদ ও নদিয়া জেলা সভানেত্রী মহুয়া মৈত্র সংবাদমাধ্যমকে ‘দু’পয়সার প্রেস’ বলে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এ বার, ফের রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংবাদমাধ্য়মের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ তুলে বেফাঁস মন্তব্যের জেরে রোষের মুখে তৃণমূল বিধায়ক। পাল্টা তোপ দেগেছে বিরোধী শিবিরও। বিজেপি নেতা প্রবাল রায় বলেন, “সংবাদমাধ্যম গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সেই সংবাদমাধ্য়মকে এই ভাবে অসম্মান করার কথাও বিজেপি ভাবতে পারে না। তৃণমূলের বিধায়ক কী করে এ হেন ন্যাক্কারজনক কথা বলতে পারেন তা ভেবেই আশ্চর্য হচ্ছি।”
উল্লেখ্য, নির্বাচন আবহে এই তৃণমূল বিধায়ক খোকন দাসের অনুগামীদের সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষে জড়িয়েছিল বিজেপি নেতা খোকন সেনের অনুগামীরা। বঙ্গ নির্বাচনের সময় ও তার পরে দুই ‘খোকনের’ তাণ্ডবে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল বর্ধমানে। সম্প্রতি, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস জারি ও হিংসার ঘটনায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে, বিজেপির বর্ধমান টাউন কো-কোনভেনর খোকন সেন ওরফে বিশ্বজিৎ সেনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তিনি জামিন পেয়েছেন। তৃণমূলী খোকনের এ হেন মন্তব্য়ের প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: আইএসএফে ‘না’ অধীরের, ‘হ্যাঁ’ মান্নানের, ক্রমেই ‘অনিশ্চিত’ হচ্ছে জোটের ভবিষ্যৎ