Bardhaman: বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই বিদ্যুৎ ‘চুরি’ করে ঘরের আলো জ্বালাছেন TMC বিধায়কের শাশুড়ি
Bardhaman: বিজেপি নেতা শান্তরুপ দে জানান, "তৃণমূল মানে দুর্নীতি। মাশুল বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। যে দলে চোর আর জোচ্চোরে ভর্তি সেখানে এর থেকে আর বেশী কী আশা করা যেতে পারে।বিধায়কের পরিবার পরিজনেরাই যদি সরকারি বিদ্যুৎ চুরি করেন তাহলে কাউকে তো আর কিছু বলারই নেই।
বর্ধমান: দোতলা বাড়ি। সেই ঘরে আলো-পাখা জ্বলছে ‘চুরি’ করে। বাড়িটি কার জানেন? খোদ তৃণমূল বিধায়কের। তাঁরই নিকট আত্মীয়র বাড়ি থেকে উঠল সরকারি বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ বিধানসভার বিধায়ক নবীন চন্দ্র বাগের শ্বশুড়বাড়ির এই কাণ্ডে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ, বিধায়কের শ্বশুড়বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ কি না হুকিং করে। জানাজানি হতেই শুরু হইচই। সাংবাদিকদের প্রশ্নের ভুল স্বীকার বিধায়কের শাশুড়ি সুমিত্রা রায় ও সম্বন্ধী অভিজিৎ রায়ের।
সুমিত্রা রায়ের দাবি, তাঁর প্রায় ১০ হাজার টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছিল। সেই টাকা দেওয়ার মতো সাধ্য নেই। ছেলেরা সে রকম কোনও কাজ করে না। তাই দু’দিনের জন্য হুকিং করা হয়েছে। সেটা খুলে দেওয়া হবে। তিনি বলেন,”এটা অন্যায় ঠিকই। খুলে দেব।” বিধায়কের শ্যালক অভিজিৎ রায় বলেন, “এটাতে হুকিং করা হয়েছে। আর একটা বাড়িতে করিনি। মেইন মিটারটা ডিসটার্ব করছিল।”
বিজেপি নেতা শান্তরুপ দে জানান, “তৃণমূল মানে দুর্নীতি। মাশুল বাড়ার ফলে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়ছেন। যে দলে চোর আর জোচ্চোরে ভর্তি সেখানে এর থেকে আর বেশী কী আশা করা যেতে পারে।বিধায়কের পরিবার পরিজনেরাই যদি সরকারি বিদ্যুৎ চুরি করেন তাহলে কাউকে তো আর কিছু বলারই নেই।আমরা এর বিহিত চাইছি। একই সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের কাছে দাবি করছি এই ঘটনা খতিয়ে দেখে আইনানুগ যা ব্যবস্থা হয় তা নিতে।” জেলাশাসক আয়েষা রানি এ বিষয়ে জানান, “এই বিষয়ে আমরা বিদ্যুৎ দফতরকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে বলব।”