বর্ধমান: বেহাল দশা গ্রামের রাস্তার। স্কুল-কলেজ থেকে হাসপাতাল যেতে রীতিমতো নাভিশ্বাস ওঠে গ্রামবাসীদের। ঢোকে না কোনও চারচাকা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, প্রশাসনের কাছে গেলে রাস্তা তৈরির আশ্বাস মিললেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শুধুই মিলেছে প্রতিশ্রুতি। যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভের বাতাবরণ রয়েছে এলাকায়। রায়না ১ ব্লকের এই পলাশন গ্রামেই মাসির বাড়ি রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির। এদিন মাসির বাড়ি আসতে গিয়ে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েন তিনি। কিন্তু, খারাপ রাস্তায় ঢুকল না দামি গাড়ি। শেষে কিছু রাস্তা হেঁটে, কিছু রাস্তা টোটোয় চেপে গেলেন মাসির বাড়ি।
গ্রামে ঢোকার জন্য রয়েছে দু’টি ঢালাই রাস্তা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, রাস্তা থাকলেও তা গাড়ি চলাচল তো দূর পায়ে হেঁটে চলাচলের জন্য অযোগ্য হয়ে গিয়েছে। বৃষ্টি হলে দুর্দশার শেষ থাকে না। কারও শরীর খারাপ হলে তো আরও বিপদ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনও উপায় থাকে না। রাজনৈতিক দলগুলির কাছে দিনের পর দিন দরবার করেও কোনও লাভ হচ্ছে। শুধুই মিলছে প্রতিশ্রুতি। যদিও মন্ত্রী বলছেন, কী ব্যাপার খোঁজ নিয়ে দেখব। কিন্তু, জঙ্গলমহলে আমার বিধানসভা এলাকায় এভাবেই টোটোতে করে, পায়ে হেঁটে এখনও ঘুরতে হয়।
প্রসঙ্গত, শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এলাকার দখল নেয় বামেরা। পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসে সিপিএম। অভিযোগ উঠতেই তাঁরা আবার দায় ঠেলছেন আগের শাসকের দিকে। পলাশন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মণিকা কোনার বলছেন, আগের বোর্ড তৃণমূলের ছিল। ওরা কেন কোনও কাজ করেনি জানি না। আমরা এসেছি কয়েক মাস হয়েছে। তবে রাস্তার কাজের জন্য টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য কাজ আটকে আছে। বৃষ্টি কমলেই কাজ শুরু হবে।