Burdwan: দোকানে বুলডোজ়ার চলছে, মা-মেয়ে মাঝ রাস্তায় চিৎকার করে কাঁদছে…
তুমুল অশান্তি শুরু হয় এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন দোকানিদের পরিবারের লোকজন। পথে নেমে আসেন স্ত্রী, সন্তানরাও। মাঝ রাস্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এতদিনের ব্যবসা। এভাবে কোনও বিকল্প পথ ছাড়া কীভাবে প্রশাসন এতটা কঠোর হচ্ছে?
পূর্ব বর্ধমান: আবারও বুলডোজ়ার চলল বর্ধমান শহরে। নোটিস দিয়েছিল প্রশাসন। এক মাস সময় দিয়েছিল। তা পেরোতেই বৃহস্পতিবার আবারও ময়দানে নামল বুলডোজ়ার। এদিন দ্বিতীয় দফার অভিযানে নামে বর্ধমান পুরসভা। অভিযানে ছিলেন চেয়ারম্যান পরেশ সরকার, সদর মহকুমাশাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস-সহ পুলিশ ও পুরসভার আধিকারিকরা। এই অভিযানকে কেন্দ্র করে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় নার্স কোয়ার্টার মোড়, শ্যামলাল, বাবুরবাগ-সহ একাধিক জায়গায়।
তুমুল অশান্তি শুরু হয় এলাকায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন দোকানিদের পরিবারের লোকজন। পথে নেমে আসেন স্ত্রী, সন্তানরাও। মাঝ রাস্তায় কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্য, এতদিনের ব্যবসা। এভাবে কোনও বিকল্প পথ ছাড়া কীভাবে প্রশাসন এতটা কঠোর হচ্ছে?
বৃহস্পতিবারের অভিযানে শহরের নার্স কোয়ার্টার মোড় থেকে শুরু করে শ্যামলাল, বাবুরবাগ হয়ে বর্ধমান হাসপাতালের কাছের রাস্তাগুলি থেকে হকার ও দখলদারদের উচ্ছেদ করা হয়। কিছু লোক আগেই দোকান সরিয়ে নিয়েছিলেন। বাকি দোকানপাট বুলডোজ়ার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। এই অভিযানে দু’টি জেসিবি মেশিন নামানো হয়।
এক ব্যবসায়ী বলেন, ” এখানে বুলডোজ়ার চালাতে বলছে। একটা বাঁশ কিনে আনতে জীবন বেরিয়ে গিয়েছে। সেখানে লাথি মারছে। ওনারা কেন এরকম করছেন জানি না। ওনারা তো নেতা মন্ত্রী। সাধারণ মানুষের কাছে এসে কথা বলেন না। প্রশাসনের কাছে ছোটেন।” সঞ্জয় চক্রবর্তী নামে আরেক দোকানির বক্তব্য, “প্রশাসন বলে গিয়েছিল, নোটিস দিয়েছিল আজকের তারিখে ভেঙে ফেলবে। আমরা যতটা পেরেছি সরিয়ে নিয়েছি। যেগুলি ছিল বুলডোজার এসে গুঁড়িয়ে দিয়ে যায়। আমরা প্রায় ১৪-১৫ বছর ব্যবসা করছি। তারপর যদি আমাদের অন্য কাজের খোঁজ করতে হয়, তাহলে তো আমাদের কোমর ভেঙে দেওয়া হবে। আমরা পুনর্বাসনের জন্য বলেছি।”
এই অভিযান নিয়ে চেয়ারম্যান কিছু বলতে না চাইলেও কাউন্সিলর শ্যামাপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশ, এসডিও, চেয়ারম্যান, আমরা সকলে এসেছি। নার্স কোয়ার্টার, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেল চত্বর দখল মুক্ত করা হচ্ছে। যান চলাচল, যাতায়াতের অসুবিধা করলে সেটা আমরা দেখব। আমরা হকারভাইদের কোনও সমস্যায় ফেলতে চাই না, একইভাবে আমরা পুরবাসীরও কোনও সমস্যা চাই না। তাই সবদিক ভেবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।”