Vrat Kohli’s Fan: ‘আজীবন আঁকড়ে থাকব…’, বিরাট কোহলিকে প্রণাম করে জেলও খাটল, ঋতুপর্ণ বাড়ি ফিরতেই যা পেল…

Manatosh Podder | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Mar 27, 2025 | 4:31 PM

Vrat Kohli: ঋতুপর্ণর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের  বাগ-কালাপাহাড় গ্রামে। পারিবার আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নয়। বাবা মহাদেব পাখিরা কিছু জমি চাষ করেন। পাশাপাশি এলাকায় তাঁর একটি ফলের দোকান রয়েছে।

Vrat Kohlis Fan: আজীবন আঁকড়ে থাকব..., বিরাট কোহলিকে প্রণাম করে জেলও খাটল, ঋতুপর্ণ বাড়ি ফিরতেই যা পেল...
বিরাট কোহলিকে প্রণাম করে ভাইরাল হওয়া ঋতুপর্ণ
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

বর্ধমান: কোহলিকে বুকে জড়িয়ে ধরার আনন্দে, উচ্ছ্বাসে এখনও ঘোরের মধ্যে রয়েছে  ঋতুপর্ণ।  কিন্তু পুলিশের দায়ের করা মামলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পাখিরা পরিবারের ঘুম ছুটেছে।

ঋতুপর্ণ ‘ভগবান’ বিরাট কোহলির পা ছুঁয়ে প্রণাম করে রাতারাতি সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। পুলিশি লক আপ, আদালতের কাঠগড়া পেরিয়ে ছেলে  ঘরে ফিরেছে। কিন্তু ঘরে ফিরেও ঘোরের মধ্যে সে। পুলিশের দায়ের করা মামলায় জামিন মিললেও আদালত পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেবে, তা ভেবেই তাঁরা এখন দুশ্চিন্তায়। সবে এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে সে। কিন্তু এই আইনি জটিলতায় ফেঁসে তার ভবিষ্যৎ কী? ভাবছেন পরিবারের সদস্যরা।

ঋতুপর্ণর বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের  বাগ-কালাপাহাড় গ্রামে। পারিবার আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল নয়। বাবা মহাদেব পাখিরা কিছু জমি চাষ করেন। পাশাপাশি এলাকায় তাঁর একটি ফলের দোকান রয়েছে।

ঋতুপর্ণর মা কাকলিদেবী একজন আশা কর্মী। ছেলে স্থানীয় পর্বতপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কলা বিভাগের ছাত্র । এ বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে।ঋতুপর্ণ ছোট বয়স থেকেই ক্রিকেট খেলায় আগ্রহী । প্রথম জামালপুরের নেতাজি অ্যাথলেটিক  ক্লাবের মাঠে গিয়ে এক প্রশিক্ষকের কাছে ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করে। বর্তমানে কলকাতার বেলেঘাটা স্পোর্টিং ক্লাবে ক্রিকেটের কোচিং নিচ্ছে।

উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত শনিবার ঋতুপর্ণ আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচ দেখতে ইডেনে যায়। তার মায়ের কথায়, “ওই দিন বিরাট কোহলিকে মাঠে স্বচক্ষে দেখে আমার ছেলে ঋতুপর্ণ আর আবেগ চেপে রাখতে পারেনি। দর্শক আসন ছেড়ে তারের ঘেরাটোপ টপকে আমার ছেলে সোজা খেলার মাঠে ঢুকে পড়ে ।ছুটে গিয়ে বিরাট কোহলির কাছে গিয়ে বিরাট কোহলির পায়ে মাথা ঠেকিয়ে ঋতুপর্ণ  প্রণাম করে। এটাই আমার ছেলের কাছে বড় প্রাপ্তি।”

আদালত জামিন মঞ্জুর করার পর ঋতুপর্ণ সোমবার রাতে বাড়ি ফেরে।  ঋতুপর্ণর দিদি রীতু বলেন,“জামিন মিললেও মামলা এখনও  ভাইয়ের ঘাড়ে ঝুলে রয়েছে। এই বিষয়টি তাঁদের খুব দুশ্চিন্তায় রেখেছে। মামলা কতদিন চলবে, পুলিশ বা আদালত এনিয়ে পরবর্তীতে কঠিন কোনও পদক্ষেপ করবে কিনা, কে জানে!”

কিন্তু এসবে খুব একটা বিশেষ আমল দিতে নারাজ ঋতুপর্ণ। ভগবানকে যখন সে বুকে জড়িয়ে ধরেছে, তখন একটা আকাশি রঙের জামা পরেছিল ঋতুপর্ণ। সুতির সেই জামার মূল্য এখন ঋতুপর্ণর কাছে অগাধ। তিনি বলেন, “এই জামাটাকে আমি আজীবন আঁকড়ে থাকব। এই জামা যখন পরেছিলাম, স্যর আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরেছিল। এই জামা তাঁর শরীর স্পর্শ করেছে। এই জামাই আঁকড়েই থেকে যাব।”

ঋতুপর্ণ খুব সহজ সরলভাবেই বলল,“আমি কোন অপরাধ মানসিকতা নিয়ে শনিবার ইডেনের মাঠে প্রবেশ করিনি। আমি মাঠে প্রবেশ করেছিলাম আমার ভগবান বিরাট কোহলি স্যারকে প্রণাম করে আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য। আমি আশাবাদী আমার ভগবান বিরাট কোহলি স্যার ,পুলিশ  কর্তাগণ ও বিচারক মহাশয় আমাকে ক্ষমা করে দিয়ে মামলা থেকে নিষ্পত্তি দেবেন!”