
কেতুগ্রাম: ভাবতেই পারছেন না পরিবারের লোকজন। খুশির খবরটা সামেনে আসতেই আনন্দে আত্মহারা তাঁরা। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় এত ভাল রেজাল্ট করেছে বাড়ির ছেলে, ভাবতেই পারেনি পরিবারের লোকজন। সকলেই বলছেন, “আমরা গর্বিত…।”
পূর্ব বর্ধমানের ‘কেতুগ্রাম নিরল হাইস্কুলে’ পড়াশোনা করেছে মহম্মদ সেলিম। এবার মাধ্যমিকে তিনি চতুর্থ স্থান পেয়েছে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯২। মামার বাড়িতেই মানুষ সে। মা মারা যাওয়ার পর বাবা আর দেখে না। বিয়ে করে চলে গিয়েছে অন্যত্র। সেই ছেলেই মা-মাসির কাছে মানুষ হয়ে দেখিয়ে দিল গোটা দুনিয়াকে। সেলিম বলছে, “আমি র্যাঙ্ক করব কোনও দিনই ভাবিনি। শুধু পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি। তারপর যখন টিভিতে শুনলাম আমি ভাবতেই পারছি না।”
এ দিন, সেলিমের সাফল্যে কার্যত গোটা গ্রাম তার বাড়িতে এসে হাজির। কেউ মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন। কেউ তার সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত। কেউ জানাচ্ছে শুভেচ্ছো। সেমিল বলল, এই সাফল্য সে তার মামাকে উৎসর্গ করতে চায়। পাশাপাশি স্কুলের শিক্ষকরা যেভাবে তাকে সাহায্য করেছে তাঁদের কথাও বলতে ভুললেন না।
সেলিম বলল, “আমি তখন ভাত খাচ্ছি। টিভিতে হঠাৎ শুনি আমার স্কুলের নাম ঘোষণা করছে। তারপর আমার নাম। আমি ভাবতেই পারিনি।” এ দিন মাধ্যমিকে চতুর্থ হওয়া সেলিম বললেন, “এই চাকরি চলে যাওয়া আমার মোটেই ভাল লাগেনি। আমাদের স্কুলের দু’জন শিক্ষক ছিলেন। তিনি খুবই ভাল পড়াতেন। কিন্তু চলে যাওয়ার খবর পেয়েছি। সেটা আমি ভাবতে পারিনি।”