বর্ধমান: রাস্তার ধারে হাঁড়ির ভিতর রাখা ছিল বোমা। দুই শিশু বল ভেবে সেটাকে নিয়ে খেলতে গিয়েছিল। তাতেই বোমা দুটি ফেটে যায়। বর্ধমানের রসিকপুরে (Bardhaman Bomb Blast) বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এবার নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) কাছে প্রাথমিকভাবে রিপোর্ট জমা দিলেন বর্ধমানের জেলাশাসক। তবে রিপোর্টে এও উল্লেখ রয়েছে, হাঁড়ির হদিশ এখনও পাওয়া যায়নি। কারা বোমাগুলি রেখেছিল, কীভাবে রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, সোমবার সকালে বর্ধমানের রসিকাপুরে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় এক শিশুর। গুরুতর জখম আরও এক শিশু। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, বেলা ১১ টা ১৫ মিনিট নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে রসিকপুরের সুভাষপল্লি রোড। রাস্তার পাশে দুই শিশু কাতরাচ্ছিল। স্থানীয়রাই তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানেই মৃত্যু হয় এক শিশুর। অপর জন এখনও ভর্তি। জানা যায়, বল ভেবে খেলতে গিয়ে বোমা ফেটেই মৃত্যু হয় শিশুর। রাজ্য রাজনীতিতে সাড়া পড়ে যায়।
এদিন বাঁকুড়ার বড়জোড়ার সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” শুনেছি একটা বাচ্চা মারা গেছে। বিষয়টি দেখতে বলেছি।” তবে এই ঘটনায় শাসকশিবিরকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিরোধীরা। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, “খুবই দুঃখজনক ঘটনা। কিন্তু হওয়ার ছিল। বোমা বন্দুকের রাজনীতি বেড়েছে। আইন শৃঙ্খলা ভেঙে গিয়েছে। মাননীয়া বলেছেন ভয়ঙ্কর খেলা হবে। দায় নিতে হবে মাননীয়াকে। তিনি পুলিশমন্ত্রী ছিলেন ১০ বছর।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘ঘটনাটি লজ্জাজনক। অভিযুক্তদের শাস্তি হওয়া উচিত। ক্ষমতা জাহির করা হচ্ছে। মানুষ এখন বিপন্ন। বিবেগ কোথায় গেলো?’
আরও পড়ুন: খেলার মাঝে ধূলোর ঝড়, রাস্তায় চাপ চাপ রক্ত! চোখের সামনে ক্ষত বিক্ষত দুই শিশু
আহত শিশুর মায়ের অভিযোগ, “ক্লাবের সামনে বোমা রাখা ছিল। বল ভেবে ধরেছিল ওরা। ফেটে যায়।” উল্লেখ্য, আগামী ২৭ এপ্রিল বর্ধমানে ভোট। ঠিক তার আগেই এই ঘটনায় তোলপাড় রাজনীতি।