পূর্ব বর্ধমান: বাংলা আবাস যোজনা (BAY) নিয়ে তরজা বহু পুরনো। সম্প্রতি সেই তরজা ফের ভাসিয়ে তোলেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি একটি টুইটে দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে (PMAY) বাংলা নিজেদের নামে করে সবরকম রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করে। কেন্দ্র বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যেই রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনি সমস্ত জায়গায় রাজ্যের তরফে প্রকল্পের নাম, লোগো বদলে ফেলা হচ্ছে। কেন্দ্রের টাকা পেতেই এই নাম বদলের খেলা বলে মত বিজেপির। অবশেষে এই তরজা নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার বর্ধমানে মাটি উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বলেন, ভোটের আগে বাংলায় এসে বিজেপি নেতারা অনেক কিছু বলেন। অথচ ভোট মিটলে প্রকল্পে বাংলার নাম থাকলে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেয়। তিনি বলেন, আবাস যোজনার প্রাপ্য টাকার জন্য তিনি দিল্লিতে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন। প্রয়োজনে তিনি নিজে যাবেন দিল্লি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কেন্দ্রের সমালোচনা করে বলেন, “যে কোনও রাজ্যের নিজের নামে বাড়ি থাকবে। উত্তর প্রদেশে উত্তর প্রদেশের নামে যদি থাকতে পারে, রাজস্থানে রাজস্থানের নামে থাকতে পারে, বাংলার নামে থাকলে আপত্তি কেন? নির্বাচনের সময় বাংলায় এসে বড় বড় কথা। অথচ বাংলার নাম বললেই, কেন বাংলার নাম বলা হয়েছে, তাই বাংলার বাড়ির টাকা দেওয়া হবে না। বাংলার রাস্তা, বাংলার ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া হবে না। আমরা মনে করি বাংলার কথা বারবার বলব। বাংলার বাড়ি চলবে, বাংলার রাস্তা চলবে। ১০০ দিনের কাজও চলবে।”
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সরাসরি তোপ দাগেন বিজেপির বিরুদ্ধে। তাঁর বক্তব্য, গত ছ’মাস ধরে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “কত কষ্ট করে ১০০ দিনের কাজ করেন লোকেরা সংবিধানের নিয়ম হচ্ছে কাজের ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দিতে হবে। আমাদের এখান থেকে কেন্দ্র সরকার টাকা তুলে নিয়ে যায়। তার থেকে একটা ভাগ আমরা পাই। এমন নয় যে ওরা টাকা দেয়। অথচ ছ’মাস ধরে বিজেপি সরকার আমাদের টাকা দিচ্ছে না। অবিলম্বে এই টাকা দিতে হবে। বাংলার বাড়ি, বাংলার সড়ক। এই যোজনাতেও টাকা আটকে রেখে দিয়েছে। আমি সাংসদদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছিলাম। দেখি কী করে। না হলে আমাকেও হয়ত দিল্লি যেতে হতে পারে এসব সমাধানের জন্য।”