বর্ধমান: অদম্য লড়াই করেও শেষমেশ জীবনের কাছে হার মানলেন সিপিএম কর্মী রাজিবুল হক। ৩২ বছরেই শেষ হল জীবন যাত্রা। এনআরএস হাসপাতালে শনিবার সকালে প্রাণ হারান রাজিবুল। তাঁর মৃত্যু খবর গ্রামে এসে পৌঁছতেই গোটা গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া।
শুক্রবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ নম্বর বুথে তৃণমূল-সিপিএম-এর সংঘর্ষ হয়। সেখানেই গুরুতর জখম হন রাজিবুল। প্রথমে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ-হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় এনআরএস-এ। এরপর আজ মৃত্যু হল এই সিপিএম কর্মীর।
মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, রাজিবুলরা চার ভাই। তবে রাজিবুল বর্ধমানে থাকতেন না। মুম্বইয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। উৎসবের সময় তিনি গ্রামে আসতেন। সিপিএম এই কর্মীর দুই ছেলে বড় ছেলের নাম শেখ রায়ান (১০) ও ছোট ছেলে আয়ূষ (৩)। বাড়িতে দুই সন্তান ছাড়াও রয়েছে, মা আনিশা বিবি, বাবা শেখ মোজাম্মেম ও স্ত্রী আনারকলি।
রাজিবুলের ভাই আজহারউদ্দীন বলেন,”বুথে ভোট কর্মীরা ঢুকলে আমার ভাই ও কয়েকজন বলতে গিয়েছিল যাতে নিরপেক্ষভাবে ভোট করা হয়। হঠাৎই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক ও কয়েকজন নেতা লাঠি রড ইট পাটকেল নিয়ে ওদের উপর আক্রমণ করে। রডের আঘাতে রাজিবুল লুটিয়ে পরে স্কুলের সামনে। অনেকক্ষণ পর তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই তাকে রেফার করা হয় এনআরএস হাসপাতালে। সেখানেই শনিবার সকালে তার মৃত্যু হয়।