
বর্ধমান: তাঁকে আজকে ইডি দফতরে তলব করা হয়েছিল। একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ মামলা, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তের স্বার্থে তলব করা হয়েছিল সায়নীকে। কিন্তু নির্বাচনের কারণে প্রচারের ব্যস্ততার কারণ দর্শিয়ে হাজিরা এড়িয়েছেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। কিন্তু হাজিরা এড়িয়ে কোথায় গেলেন তিনি? ইডির ডাকে না গিয়ে গলসিতে সায়নী ঘোষ। বুধবার পূর্ব বর্ধমানের গলসিতে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে যান তিনি।
সেখানে এক এলাহি আয়োজন। এক্কেবারে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রার ধাঁচে প্রচার সারলেন তিনি। এক্কেবারে গাড়ির ছাদ থেকে বেরিয়ে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে হাত মেলানো, সঙ্গে ফুলের বৃষ্টি। আবার কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে গাদা ফুলের পাপড়ি ছুড়তে দেখা গেল তাঁকেও।
ইডি-র হাজিরা এড়িয়েছেন তিনি। দৃশ্যত তাঁকে এদিন বেশ প্রত্যয়ীই দেখাচ্ছিল। প্রচারের পর সাংবাদিকদের সামনে স্বাভাবিকভাবেই এই প্রশ্নের মুখে পড়েন তিনি। সায়নী জানান, প্রয়োজনে অনলাইনে জেরার মুখোমুখি হতে পারবেন তিনি। ভোটের আর মাত্র দু’দিন বাকি। ভোটের পর যতবার ডাকবে সশরীরে হাজির থাকবেন। তিনি বলেন, “নথি পাঠিয়ে দিয়েছি। ওদের জানিয়ে দিয়েছি অনলাইনে বা ভার্চুয়ালি যদি কথা বলতে হয়, কথা বলতে পারি। ভোটের আর মাত্র দু’দিন বাকি। যুব সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব রয়েছে৷ সেকথা আগে জানিয়ে এসেছি। এগারো তারিখের পরে ভোট মিটে গেলে যতবার ডাকবে সশরীরে হাজিরা দেব।”
বুধবার দুপুরে গলসি বাজারে নির্বাচনী প্রচারের কর্মসূচি হিসাবে রোডশো করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। রোড শোয়ে সায়নীকে ঘিরে কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উৎসাহ ছিল তুঙ্গে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানে প্রচারে ছিলেন সায়নী ঘোষ। তখনই ইডি-র তলবের বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারেন সায়নী। শেষমেশ ৩০ জুন তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দেন। সাড়ে ১১ ঘণ্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ। সায়নী দাবি করেছিলেন, ইডি- হয়তো তাঁর উত্তরে অসন্তুষ্ট। কিন্তু ইডি সূত্রে খবর, তদন্তে সহযোগিতা করছেন না সায়নী। সেক্ষেত্রে আইনি পরামর্শ নিতে পারেন ইডি আধিকারিকরা।