পূর্ব বর্ধমান: শুক্রবার জেলায় আসছেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে নবজোয়ার কর্মসূচি ঘিরে নতুন বিতর্ক দানা বাধল পূর্বস্থলীতে (Purbasthali)। নবজোয়ার কর্মসূচিতে গেলে বিধায়ক খুন করতে পারেন, এমনই অভিযোগ দলেরই একাংশের। এই ঘটনা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে গেলে বিধায়ক করতে পারেন, এমন অভিযোগই তুললেন পঞ্চায়েতের উপপ্রধান-সহ বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্য ও নেতা কর্মী। বৃহস্পতিবার রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে এমন আশঙ্কার কথা জানান পূর্বস্থলী-২ ব্লকের তৃণমূলের একাংশ। যদিও বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় এই অভিযোগ আমল দিতে চাননি। এদিকে অভিষেকের জেলা সফরের ২৪ ঘণ্টা আগে এমন আশঙ্কার কথায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের গন্ধ পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল।
পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ব্লকের দলীয় নেতা কর্মীদের বিরোধের অভিযোগ প্রায় প্রায়ই শোনা যায়। সূত্রের খবর এ নিয়ে উচ্চ নেতৃত্ব অবধিও অভিযোগ গিয়েছে একাধিকবার। পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তপন চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধ তো অতি সম্প্রতিও সামনে এসেছে।
সেই পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায়ও এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন। তিনি বলেন, “যেখানে এই ভোট হবে, সেখানে আমরা যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলাম। কিন্তু উনি বলেননি। এবার আমরা ৫০০-৬০০ জন টিম নিয়ে যদি যাই, সেখানে একটা অশান্তি হবে। আমরা তা চাই না। তাই যাচ্ছি না। তবে প্রতিবাদ আমরা লিখিতভাবে জানাচ্ছি। তপন চট্টোপাধ্যায় লোকজন দিয়ে অশান্তি করাতে পারেন। এমনকী প্রাণহানিরও আশঙ্কা থাকতে পারে লোকমুখে শুনেছি।”
পঙ্কজের অভিযোগ, পুরনো কর্মীদের কাউকে জানাননি বিধায়ক। প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি কেউ জানেন না। বিধায়ক নিজের মনমতো লোকজনের তালিকা জমা দিয়েছেন। পঙ্কজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় ও ব্লক সভাপতি নিজের ইচ্ছামতো এখানে ঘুঁটি সাজিয়ে নিজেদের স্বার্থ কায়েমের চেষ্টা করছেন।” শুক্রবার অভিষেককে তাঁরা অভিযোগ জানাবেন বলেও জানান। তাতে কাজ না হলে ভবিষ্যতে অন্য চিন্তাভাবনার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এসব মিথ্যা অভিযোগ।