Burdwan University: অনুমতি ছাড়া মুখ খোলা যাবে না, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Sep 10, 2022 | 2:00 AM

সংগীতশিল্পী তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার স্পষ্ট জানান, এই ধরনের বেআইনি অনুরোধ মানা সম্ভব নয়।

Burdwan University: অনুমতি ছাড়া মুখ খোলা যাবে না, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়।

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: মুখ বন্ধের ফতোয়া জারি করা হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও কর্মী আগাম অনুমতি ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করতে পারবে না বলে এক নির্দেশিকা জারি করা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এই নির্দেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যা ঘিরে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। এই বিজ্ঞপ্তি ‘মানছি না’ বলে সরব হয়েছেন অনেকেই। সংগীতশিল্পী তথা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার স্পষ্ট জানান, এই ধরনের বেআইনি অনুরোধ মানা সম্ভব নয়। এমনও অভিযোগ উঠছে, এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স লঙ্ঘনের সমান।

এদিন সন্ধ্যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এসকে চৌধুরীর সইসম্বলিত একটি বিজ্ঞপ্তি সামনে আসে। সেখানে বলা হয়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত কর্মীদের অনুরোধ করা হচ্ছে, কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি ছাড়া সংবাদমাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ এই বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিষয়ে মুখ খুলতে পারবেন না। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, এই নির্দেশ কীভাবে দেওয়া হতে পারে? রাজ্যের কোনও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন নির্দেশ জারি করেনি বা সিদ্ধান্ত নেয়নি বলেও সরব হন একাধিক অধ্যাপক, কর্তা, কর্মীরা।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বিজ্ঞপ্তি আজকে বেরিয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ বেআইনি। এটা আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। শুধু তো চাকরি করি না। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রও ছিলাম। তা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় একটা পাবলিক ইনস্টিটিউশন। জনগনের টাকায় চলে। এর ভাল মন্দ বিষয়ে প্রত্যেকের বলার স্বাধীনতা আছে, আমাদেরও আছে। ফলে আমি আজই জানিয়ে দিয়েছি, সামাজিক গণমাধ্যমেও জানিয়েছি, এই আদেশ যা ওনারা অনুরোধের নাম দিয়েছেন, সেটা আমি মানব না। এটা প্রত্যাহার করতে হবে।”

প্রশ্ন উঠছে, হঠাৎ কেন এমন নির্দেশ? কিছুদিন আগেই অব্যবস্থার অভিযোগ উঠেছিল এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে। পরীক্ষায় অনিয়ম, ফলপ্রকাশে বিলম্ব, অ্যাডমিট কার্ড ছাড়াই পিএইচডি, এমফিলের মত পরীক্ষা নেওয়ার অভিযোগ ঘিরে হইচই পড়ে যায়। তার সঙ্গে এই বিজ্ঞপ্তির কোনও যোগ রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাইচন্দ্র সাহা অবশ্য বলেন, “ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে যে কেউ লিখতে পারে, তা নিয়ে আমাদের তো কিছু মতামত নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কিছু বলার থাকলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই বলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। আমরা চেয়েছি যাই হোক যেন সঠিক কথাটা বেরোয়। অনেক সময় ভুল তথ্য চলে যাচ্ছে, যা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামের জন্য ঠিক নয়।”

Next Article