পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমানের (Purba Burdwan) পরিত্যক্ত হ্যাচারি। বহুদিন ধরেই তালাবন্ধ। লোকজন বিশেষ কেউ আসে না। এখানে একজন রক্ষী থাকেন। তিনিও বেশ বৃদ্ধ। তাঁরই দায়িত্ব এই বন্ধ হ্যাচারি দেখভালের। বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই বৃদ্ধ হ্যাচাড়ির ভিতরে থাকা কলাবাগানের দিকে যান। সেখানে ঢুকতেই বোঁটকা গন্ধ নাকে লাগে তাঁর। এরপরই এদিক ওদিক কলাপাতা সরাতেই নজরে আসে একটি পচা গলা দেহ পড়ে রয়েছে। দেহে পোকা ধরে গিয়েছে। বন্ধ হ্যাচারিতে এমন দৃশ্যে শিউরে ওঠেন ওই বৃদ্ধ। সঙ্গে সঙ্গে ফোন করেন মালিককে। মালিক জানান থানায় জানাতে। বৃহস্পতিবার বিকেলে বর্ধমানের ৫ নম্বর ইছলাবাদ এলাকার একটি পরিত্যক্ত হ্যাচারি থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, দেহটি ১০ থেকে ১৫ দিন আগের। তবে মৃত ব্যক্তির এখনও পরিচয় জানা যায়নি। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতালে পাঠিয়েছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
হ্যাচারির রক্ষী হরিপদ ছেত্রী বলেন, “আমি বাগানে গিয়েছিলাম। কেমন যেন একটা গন্ধ নাকে গেল। আমি আবার এদিক ওদিক তাকিয়ে হঠাৎ দেখি পাতার আড়ালে একজনকে মেরে জঙ্গলে ফেলে রেখেছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে মালিককে ফোন করলাম। উনি বললেন থানায় ফোন করতে। আমার কাছে তো থানার নম্বর ছিল না। আমি আবার কয়েকজনকে বললাম। ওরাই থানায় খবর দেয়। এরপর পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ২০০৩ সাল থেকে বন্ধ এই হ্যাচারি।”
এলাকার বাসিন্দা অরুণ বিশ্বাসের কথায়, এই বাহাদুর কাকা ৪০-৫০ বছর হয়ে গেল এখানে কাজ করেন। উনিই এদিন কলাগাছ দেখতে বাগানে গিয়ে মৃতদেহটি দেখতে পান। অরুণ বিশ্বাস বলেন, “বাহাদুর কাকা এখানে থাকেন। প্রায় ৪০-৫০ বছর হয়ে গেল। উনিই এদিন কলাগাছ দেখতে গিয়ে দেখেন একটা দেহ পড়ে আছে। উনি মালিককে জানান। মালিক থানায় ফোন করার কথা বলেন। বাহাদুর কাকা থানায় না জানিয়ে পাড়ার লোকজনকে জানান। আমরা আসি। এসে থানায় খবর দিই। দিয়ে দেখি দেহটা একেবারে পোকায় ধরে ফেলেছে। পুলিশ এসে নিয়ে যায়। পচা গলা দেহ। এই হ্যাচারি অনেকদিন ধরেই বন্ধ। মালিক কলকাতায় থাকেন। বাহাদুর কাকাই সব। দেহ চেনা যায়নি। চারপাশে মদের বোতল পড়েছিল। মনে হচ্ছে মেরেই ফেলেছে কেউ।”