পূর্ব বর্ধমান: বাড়িতে ওষুধের কারখানা (Medicine Factory)। সেখানে নানারকমের তেল রাখতেন যুবক। সঙ্গে শোকেস ভরা সাজানো থাকত যৌন বলবর্ধক ওষুধ, তেল। সবই নামী ব্র্যান্ডের। এরপরই সামনে আসে নয়া তথ্য। অভিযোগ, এই ওষুধ আসলে বেআইনি। নামী কোম্পানির লেবেল ও নামের ব্যবহার করে শিশিতে ভরা হতো নকল ওষুধ। অভিযোগ, তা এজেন্ট মারফত বিক্রি করা হতো বিভিন্ন জেলায় জেলায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ হানা দেয় এলাকায়। বেআইনি ওষুধ কারখানায় হানা দিতেই নকল ওষুধ তৈরির পর্দা ফাঁস হয়। বাড়িতে কারখানায় ঢুকেই পুলিশের চোখ কপালে ওঠার জোগাড়। এই চক্রের একজন চাঁইকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতের নাম সলমন শেখ। বাড়ি কচুটিয়া গ্রামে। ধৃতের বাড়িতেই নকল ওষুধ তৈরির কারখানার হদিশ মেলে। ধৃতকে বৃহস্পতিবার কাটোয়া আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক তাঁকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
বুধবার গভীর রাতে কেতুগ্রাম থানার পুলিশ কচুটিয়ায় ওই বাড়িতে হানা দেয়। তাঁর বাড়িতে নকল তেল তৈরির কারখানা ও নকল যৌন বলবর্ধক নানা ট্যাবলেট, তেল-সহ চর্মরোগ কমানোর মলম, চুলকানির মলম উদ্ধার হয়। সবক্ষেত্রেই নামজাদা সংস্থার লেবেলের আড়ালে বেআইনি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নকল তেল এনে তা প্যাকেজিংয়ে ঝকঝকে করে এদিক ওদিক বিক্রি করা হতো এই কারখানা থেকে। এমনভাবে তৈরি করা হতো, যা দেখে কারণ বোঝার জো নেই এই ওষুধ বা তেল নকল না আসল। বিভিন্ন জেলায় এই চক্রের এজেন্ট রাখা হত কমিশনের ভিত্তিতে। তাঁরাই ঘুরে ঘুরে বাজারে এই ওষুধ বিক্রি করতেন। বিভিন্ন দোকানে তা সেল করতেন তাঁরা।
ধৃতের বাড়ির বারান্দায় বিভিন্ন ধরনের নকল ট্যাবলেট, তেল ও মলম পাওয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ। ওষুধ তৈরির বিভিন্ন সামগ্রীও পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ হানা দিয়ে ওই যুবকের কাছে ড্রাগ লাইসেন্স দেখতে চায়। তা তিনি দেখাতে পারেননি। এরপরই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয় নানারকমের ওষুধ। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় পাঁচজনের নামে অভিযোগ থাকলেও চারজন এখনও বেপাত্তা। ধৃতকে জেরা করে বাকিদের খবর পেতে চাইছে পুলিশ।