Child Death: বাথরুমের বালতিতে মুখ গুঁজে পড়ে দেড় বছরের শিশু, হাসপাতালে নিয়ে ছুটলেও বাঁচানো গেল না…

Purba Burdwan: রোজই এভাবেই বাচ্চাটিকে ঘরে ছেড়ে রেখে নিজের মতো কাজ করেন মা। দাদাও ঘরে ঘোরাফেরা করে, নিজের মতো খেলে। বোনের থেকে তিন চার বছরের বড় হবে সে। কিন্তু এমন বিপদ যে ঘটতে পারে ভাবতেই পারছেন না এলাকার লোকজন।

Child Death: বাথরুমের বালতিতে মুখ গুঁজে পড়ে দেড় বছরের শিশু, হাসপাতালে নিয়ে ছুটলেও বাঁচানো গেল না...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2023 | 7:42 PM

পূর্ব বর্ধমান: মা বারান্দায় বসে ভাত খাচ্ছিলেন। ছেলে তখন ঘরেই খেলছে। ঘরের ভিতরই ঘুরঘুর করছে দেড় বছরের শিশুকন্যাও। এরপরই হঠাৎ কোনও সাড়া শব্দ নেই। জ্যেঠিমা এসে দেখেন বাথরুমের বালতিতে ছোট্ট মুখটা আটকে। পা দু’টো বাইরে। টেনে কোলে তুলতেই জ্যেঠিমা দেখেন শরীর ঠান্ডা। শ্বাস চলছে না ছোট্ট শিশুকন্যার। ঠাকুমা সঙ্গে সঙ্গে নাতনিকে বুকে তুলে নিয়ে হাসপাতালের পথে ছোটেন। ভাতের থালা ঠেলে অকাতরে কেঁদে চলেছেন মা। কমলা ফ্রক পরা ছোট্ট শিশুর চোখের পাতা জোড়া শক্ত করে বন্ধ। বিপদের আর কিছুই বাকি নেই তখন। রবিবার ঘটনাটি ঘটে কালনার মন্তেশ্বরের বনপুর গ্রামে।

বাথরুমে জলভর্তি বালতিতে ডুবে মর্মান্তিক পরিণতি হয় দেড় বছরের ওই শিশুর। মৃত শিশুর নাম জুয়েনা রাফা খাতুন। তার দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।

জানা গিয়েছে, রোজই এভাবেই বাচ্চাটিকে ঘরে ছেড়ে রেখে নিজের মতো কাজ করেন মা। দাদাও ঘরে ঘোরাফেরা করে, নিজের মতো খেলে। বোনের থেকে তিন চার বছরের বড় হবে সে। কিন্তু এমন বিপদ যে ঘটতে পারে ভাবতেই পারছেন না এলাকার লোকজন। শিশুটিকে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই  চিকিৎসকরা মৃত্যু নিশ্চিত করেন। এরপর সোমবার ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে পাঠায় পুলিশ।

জুয়েনার মা টুম্পা বেগমের কথায়, “আমি বারান্দায় বসে খাচ্ছিলাম। ছেলেটা ওপাশে খেলছিল। কখন যে মেয়েটা বাথরুমে ঢুকে গিয়েছে দেখিনি। পরে দেখি বালতিতে মুখ গুঁজে পড়ে আছে। আমার চিৎকার শুনে সকলে ছুটে আসে শাশুড়ি। বাচ্চাটাকে কাঁধে তুলে নিয়ে ছুট লাগান হাসপাতালের দিকে। মন্তেশ্বর নিয়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর আর কিছুই মনে নেই।”