extramaratial affair: মদের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে স্বামীকে খুন, রক্ত ঢাকতে ছড়ালেন গোবর, মৃত্যুর পর প্রেমিককে স্ত্রী বললেন ‘কাজ শেষ’

Katwa:

extramaratial affair: মদের সঙ্গে কার্বলিক অ্যাসিড খাইয়ে স্বামীকে খুন, রক্ত ঢাকতে ছড়ালেন গোবর, মৃত্যুর পর প্রেমিককে স্ত্রী বললেন কাজ শেষ
বাঁদিকে অভিযুক্ত স্ত্রী, মাঝে স্বামী, ডানদিকে প্রেমিকImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jun 11, 2025 | 4:41 PM

কাটোয়া: হানিমুন-কাণ্ড নিয়ে যখন চর্চার অন্ত নেই। সেই সময় ফের একবার এ রাজ্যেও ফের একবার পরকীয়ার ঘটনা। স্বামীকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় এবার স্ত্রীর প্রেমিক অভিজিৎ বাগদিকেও গ্রেফতার করল কাটোয়া থানার পুলিশ। আজ ধৃতকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হবে। তদন্তের স্বার্থে সাতদিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, বছর দেড়েক আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় আমূল গ্রামের মিতা দাস ও নানুন এলাকার অভিজিৎ বাগদির। সময়ের সঙ্গে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাঁরা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। এই সম্পর্কের কথা জানাজানি হওয়ায় মিতার স্বামী মহাদেব দাসের সঙ্গে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরই স্বামীকে সরিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রে নামে মিতা ও অভিজিৎ।

পুলিশ জানায়, জামাইষষ্ঠীর দিন কাটোয়ার একটি হোটেলে দেখা করে দু’জনে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন তাঁরা। হোটেলে বসেই স্বামীকে খুনের ছক কষে মিতা ও অভিজিৎ বলে খবর। সেই মতো অভিজিৎ কার্বলিক অ্যাসিড কিনে দেয় মিতাকে।

ঘটনার দিন রাতে দুই সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে মিতা বাড়িতেই ছিলেন। পুলিশ জানায়,মদে কার্বলিক অ্যাসিড মিশিয়ে মহাদেব দাসকে পান করান মিতা। কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে বাড়ির উঠোনে লুটিয়ে পড়েন তিনি। তখন বাঁশ দিয়ে মাথায় আঘাত করে মিতা। এরপর অচৈতন্য স্বামীর মুখে বালিশ চেপে শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে মিতা। বাড়িতে ছড়িয়ে থাকা রক্ত গোবর দিয়ে মুছে দেন তিনি। তারপর প্রেমিককে ফোন করে খবর দেয়, “কাজ শেষ”।

পুলিশ এও জানিয়েছে, পরেরদিন সকালে পরিবারের অন্য সদস্যদের মিতা জানান, তাঁর স্বামী স্ট্রোকে মারা গিয়েছেন। কিন্তু দেহে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন দেখে সন্দেহ হলে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে মিতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে খুনের কথা স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত। মৃতের ভাই বলেন, “সকালে বৌদি এল ভাগ্নাকে নিয়ে। বলল তোমার ছেলে কথা বলছে না। হাত পা ঠান্ডা হয়ে আছে। দাদা শেষ। বৌদি বারবার বলছে স্ট্রোক হয়ে মরে গিয়েছে। পরে ডাক্তার বলছে ওকে মেরেছে। সঙ্গে বালিস চাপা দিয়ে মেরেছে। এর সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত।”

এই ঘটনার দুই দিনের মাথায় মিতার প্রেমিক অভিজিৎ বাগদিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করে খুনের কাহিনি। বর্তমানে তদন্ত চালাচ্ছে কাটোয়া থানার পুলিশ। উল্লেখ্য, মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে স্বামীকে খাদে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে। স্বামী রাজা রঘুবংশীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার সোনম রঘুবংশী। প্রেমিকের সঙ্গে মিলে এই প্ল্যান করেন সোনাম। ইন্দোরের এই ঘটনায় কার্যত চাপানউতোর চলছে। তার মধ্যেই এই ঘটনা স্বাভাবিরভাবে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।