পূর্ব বর্ধমান: মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পূর্ববর্ধমানের মাধবডিহি থানার পুলিশ। ধৃতের নাম ঝন্টু মুদি। হুগলির বাসিন্দা সে। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এরপর রবিবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে সাতদিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। ধৃতের চারদিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
জানা গিয়েছে, হুগলির বাসিন্দা ওই মহিলা। তিনি বিবাহিত। তাঁর প্রথম পক্ষের দু’টি ছেলে রয়েছে। শুক্রবার ওই মহিলা ও তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী এবং পরিবারের সদস্যরা কালীপুজো দেকতে দিদির বাড়িতে আসেন। পুজোর পর অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে নাচ-গানের অনুষ্ঠান হয়। সেই অনুষ্ঠান দেখে গভীর রাতে বাড়ি ফিরে আসেন।
এসডিপিও দক্ষিণ আমিরুল ইসলাম খান বলেন, “রাত ঠিক দেড়টা নাগাদ ওই মহিলার স্বামী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে যান। দীর্ঘক্ষণ না ফেরায় তিনি স্বামীকে খুঁজতে বাইরে বের হন। তখনই লালসার শিকার হন তিনি। রাস্তায় ওই মহিলাকে একা পেয়ে ঝন্টু তাঁর সঙ্গে জঘন্য কাজটি করে। এখানেই শেষ নয়, পুরো ঘটনার বিষয়ে যাতে কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে না পারে তার জন্য গৃহবধূকেও হুমকি দেয় সে। ঘণ্টাখানেক পর গৃহবধূকে সে ছেড়ে দেয়। বাড়ি ফিরে কাঁদতে-কাঁদতে দিদিকে ঘটনার কথা জানান ওই মহিলা। তিনি নিজেই তাঁর উপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা রুজু করে থানা।”
গৃহবধূর পরনের পোশাক ইতিমধ্যে বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। নির্যাতিত মহিলা এবং ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আবেদন জানান তদন্তকারী অফিসার। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
প্রসঙ্গত, গতকাল বসিরহাট থেকে ঠিক এই রকমই পৈশাচিক ঘটনা সামনে আসে। শ্বশুরবাড়িতে ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ মামলা দায়ের করলে সেই মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি এবং অ্যাসিড দিয়ে হামলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল স্বামী এবং পরিবারের বিরুদ্ধে। বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানা এলাকার ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ১৮ বছরের যুবতীর সঙ্গে তাঁর এলাকারই যুবক ২০ বছর বয়সী সিরাজুল মোল্লার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সোনার গয়না এবং বাড়ি নির্মাণের জন্য ১০ লক্ষ টাকার বেশি পণ নেয় সিরাজুল বলে যুবতীর বাপের বাড়ির লোকের দাবি।
কিন্তু তিন মাস পর আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবি করে সিরাজুল। কিন্তু পণ দিতে না পারায় বধূর উপর নেমে আসে অত্যাচার। এরপর গত ৫ অক্টোবর ঘটে যায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। অভিযোগ, সেদিন বাড়িতে মদ্যপানের আসর বসায় ওই গৃহবধূর স্বামী এবং তাঁর দুই জামাইবাবু। অতিরিক্ত মদ্যপানের পর বধূর দুই জামাইবাবু গিয়াসউদ্দিন মোল্লা এবং শেখ বাবলু মোল্লা তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এর পর ওই গৃহবধূ বিষয়টি তাঁর স্বামীকে জানালে তিনি প্রতিবাদ করা তো দূরের কথা, উল্টে তাঁর উপর আরও অত্যাচার করতে থাকেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগের ভিত্তিতে গিয়াসউদ্দিন মোল্লাকে ইতিমধ্যে আটক করেছে পুলিশ। তারপর থেকে ওই বধূকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর ও হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। তিনি ভয় পেয়ে বাপের বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু তাতেও নাছোড় স্বামী। এদিন বিদ্যাধরী নদী সংলগ্ন এলাকায় স্ত্রীকে অ্যাসিড মারার চেষ্টা করে অভিযুক্ত স্বামী এবং তার দুই সঙ্গী।