
আউশগ্রাম: শুনানিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন তরুণী বধূ। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হল চিকিৎসা কেন্দ্রে। এই ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপান উতোর। সোমবার পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক অফিসে এসআইআর-এর শুনানির জন্য হাজির হয়েছিলেন বধূ হাসিনা শেখ। আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।
ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শেখ আব্দুল লালনের নেতৃত্ব কয়েকজন তৃণমূলকর্মী বিডিও অফিসে গিয়েছিলেন। তাঁদের দাবি, শুনানিকক্ষে বিএলএ ২-দের ঢুকতে দিতে হবে। ঠিক ওই সময়েই হাসিনা শেখ অসুস্থ বোধ করেন। তিনি বিডিও অফিসের মধ্যেই জ্ঞান হারান। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে কয়েকজন তৃণমূলকর্মী সমর্থক স্থানীয় জামতাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। চিকিৎসার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সেখ আব্দুল লালন বলেন, “আমরা দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বিডিও অফিসে গিয়েছিলাম। বলেছিলাম যাতে বিএলএ ২ দের শুনানিকক্ষে ঢুকতে দেওয়া হয়। ওই সময়ে আমরা জানতে পারি একজন মহিলা শুনানি কক্ষে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।” নির্বাচন কমিশনের নির্দেশিকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছে, চরম হয়রানির শিকার হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূলের।
বছর কয়েক আগে হাসিনা শেখের বিয়ে হয় আউশগ্রামের এড়াল গ্রামে। তাঁর বাবার বাড়ি জেলার মঙ্গলকোটের ন’পাড়ায়। আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের বিডিও চিন্ময় দাস বলেন, “একজন মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। তবে এর সঙ্গে শুনানির কোনও সম্পর্ক নেই।” পাশাপাশি তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমার কাছে দাবি করা হয় বিএলএ ২ দের শুনানিকক্ষে ঢুকতে দিতে হবে। কিন্তু আমার পক্ষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া অসম্ভব।”
এই ঘটনায় বিজেপি নেতা মৃত্যঞ্জয় চন্দ্র বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস প্রথম থেকেই চাইছে রাজ্যে যাতে কোনওভাবেই এসআইআর না হয়। আর এখন সেই নিয়ে নতুন করে অশান্তি ও ঝামেলা পাকানোর চেষ্টা করছে।”
অন্যদিকে তরুণীর স্বামী আনিসুর রহমান শেখ দাবি করেন, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। তাই তিনিও ঢুকতে চেয়েছিলেন শুনানিকক্ষে। কিন্তু তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।