তৃণমূল বহিষ্কার করেছে শুনেই মিষ্টিমুখ করালেন কণিষ্ক, বললেন ‘খুব শান্তি পেলাম’
তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, "ওকে অনেক আগেই বাদ দেওয়া উচিত ছিল। দলে রাখাটা মস্ত বড় ভুল ছিল। ও একটা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।"
পূর্ব মেদিনীপুর: দল তাঁকে বহিষ্কার করলেও তা আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ জানায়নি। রবিবার টিভি নাইন বাংলার মুখোমুখি হয়ে এমনটাই দাবি করলেন শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত কণিষ্ক পাণ্ডা (Kanishka Panda)। এতদিন পূর্ব মেদিনীপুরে (Purba Medinipur) সংগঠনের সম্পাদক হিসাবে ছিলেন তিনি। রবিবারই তাঁকে দল বিরোধী কাজের জন্য বহিষ্কার করে তৃণমূল। এরপরই বিস্ফোরক কণিষ্ক সরব হন তৃণমূল নেত্রী-সহ শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে। দল থেকে বহিষ্কারের খবর পেয়েই মিষ্টিমুখ করান এলাকার লোকজন, অনুগামীদের।
বলেন, “আমাকে কেউ এই ব্যাপারে জানায়নি। আমি আপনাদের কাছেই শুনলাম। যদি করে থাকে খুব ভাল। আমি খুব শান্তি পেলাম। যাঁর মেরুদণ্ড থাকবে সে কখনও এই দলটা করতে পারবে না। যেভাবে তৃণমূল নেত্রী থেকে শুরু করে কল্যাণ, ববি, দোলা, পূর্ণেন্দুরা দল বিরোধী কাজ করছে এই সিদ্ধান্ত নিলে আমি খুব আনন্দিত হব। এলাকার লোকজন, সহকর্মীদের মিষ্টি মুখ করাব।”
এরপরই সুর চড়িয়ে কণিষ্ক দাবি করেন, “আমার দল শুভেন্দু, তৃণমূল নয়। শুভেন্দুর মতই আমার মত, শুভেন্দুর পথেই আমার পথ। শুভেন্দুকে যোগ্য মর্যাদা দেয়নি তৃণমূল। এক ঐতিহাসিক ভুলের সাক্ষী হতে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” সদ্য নিজের কার্যালয়কে গেরুয়ায় রাঙিয়েছেন কণিষ্ক। কেন? “গেরুয়া ত্যাগের প্রতীক। তাই নিজের অফিস থেকে পরণের পোশাক, সবই গেরুয়া সাজে সজ্জিত করেছি”, জবাব সদ্য তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত নেতার।
শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূলের দূরত্ব তৈরি হওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে নানা মন্তব্য শোনা যাচ্ছিল কণিষ্কর মুখে। জেলায় ‘শুভেন্দু অধিকারী সহায়তা কেন্দ্র’ খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণও শানানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মমতাকে ‘বহিরাগত’ বলেও এদিন তোপ দাগেন কণিষ্ক। একইসঙ্গে তীব্র নিন্দা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনার।
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর সঙ্গে আমাকে গুলিয়ে ফেলবেন না, পার্থর বাড়িতে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন রাজীব
এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি বলেন, “ওকে অনেক আগেই বাদ দেওয়া উচিত ছিল। দলে রাখাটা মস্ত বড় ভুল ছিল। ও একটা মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যাক্তি। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।”