কলকাতা : শেষ হয়েছে সরস্বতী পুজো (Sraswati Puja)। কিন্তু, সেই পুজো উপলক্ষেই বুধবার খাওয়া-দাওযার আয়োজন করা হয়েছিল স্কুলে। বেঁচে গিয়েছিল কিছু খাবার। অভিযোগ, সেই বাসি খাবারই এদিন দেওয়া হয় স্কুলের হোস্টের ছাত্রদের। আর সেই খাবার খেয়ে পেটে হাত পড়ুয়াদের। অসহ্য পেটে যন্ত্রণা, সঙ্গে বমি। খাবারে বিষক্রিয়ার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়লেন ১৬ জন ছাত্র। স্কুলে এল ব্লকের মেডিকেল টিম। কয়েকজন ছাত্রকে চিকিৎসার জন্য অন্যত্রও পাঠানো হয়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে তমলুক (Tamluk) ব্লকের নিকাশী মহেশ্বর জিউ হাইস্কুলে। তবে শুরু থেকেই গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করলেন স্কুলের শিক্ষকরা। সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়ালেন তো বটেই, সেই সঙ্গে স্কুলে ঢুকতেও দেওয়া হল বাধা। তবে শেষ পর্যন্ত সংবাদমাধ্য়মের মুখোমুখি হতে বাধ্য হলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক দিলীপ কুমার দাস। যদিও তাঁর স্পষ্ট দাবি, কাউকেই বাসি খাবার দেওয়া হয়নি।
উল্টে তিনি দাবি করেন, বেশি খাবার খাওয়ার ফলেই পেটের সমস্যা হয়েছে। প্রথমে সংবাদমাধ্যমকে এড়িয়ে গেলেও শেষে তিনি বলেন, “হোস্টেলে ৫০ জন ছাত্র থাকে। তারমধ্যে ১০-১২ জন ছাত্র ছাত্রের পেটের সমস্যা দেখা দেয়। কয়েকজন বমি করছিল। ওদের ওষুধও দেওয়া হয়। তবে ঝুঁকি না নিয়ে ডাক্তারও ডাকা হয়। ডাক্তারবাবুর এসে দেখে গিয়েছেন। বেশি খাবার খাওয়ার ফলেই এটা হয়েছে। চারবার ভাত-মাংস-পায়েস খেয়েছে। তবে কাউকে বাসি খাবার দেওয়া হয়নি।” এ ঘটনায় রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছে পদ্ম শিবির।
বিজেপির তরফে তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থার কী অবস্থা তা সকলেই জানেন। যেখানে সাদা খাতার মাস্টারদের দিয়ে স্কুল চালানো হচ্ছে সেখানে এই ঘটনা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আরামবাগের গোঘাটের স্কুলে এই ঘটনা ঘটেছে, হাসনাবাদের স্কুলে হয়েছে, এবার নিকাশি মহেশ্বরের স্কুলেও এই ঘটনা ঘটল। গতকালের খাবার আজ খাওয়ানো হচ্ছে ছাত্রদের। আসলে নেতা-নেত্রী, আমলারা কোটি কোটি টাকা খরচ করে তাঁদের ছেলেমেয়েদের কনভেন্ট স্কুলে পড়াচ্ছেন। আর গরিব মানুষের ছেলেরা এই সব স্কুলে যাচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে এটা হচ্ছে। এই সরকারের পতন যতদিন না হচ্ছে, ততদিন সাধারণ মানুষকে এই কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে।