তমলুক: দ্বিগুণ অঙ্কের টাকা ফেরতের ফাঁদে পা দিয়ে প্রতারিত হলেন এক অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী তথা বর্তমান পুলিশকর্মী। প্রতারণার ফাঁদে পড়ে তিনি প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খুইয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্তে নেমে ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত দুজনকে মঙ্গলবার রাতে ময়নার রাসের মেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বুধবার তমলুক আদালত ধৃতদের শর্তসাপেক্ষ জামিন মঞ্জুর করেছে।
রাজ্য জুড়ে চলছে সাইবার হানা। প্রায়শই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন প্রচুর মানুষ। প্রতারণা নিয়ে গুচ্ছ গুচ্ছ মামলা দায়ের হচ্ছে বিভিন্ন থানায়। এবার সেই তদন্তকারীদের ঘরেই হানা দিল প্রতারকরা। বিগত কয়েক বছরে বিভিন্ন চিটফান্ডের পাল্লায় পড়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এত কিছুর পর যে সচেতনতা তৈরি হয়নি, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে এই ঘটনা।
জানা গিয়েছে, ১০০ টাকাকে ২০০ টাকা করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ময়না থানার এক পুলিশকর্মীর কাছ থেকে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রতারকরা। জয়দেব বর্মণ নামের ওই ব্যক্তি সেনার চাকরি থেকে অবসরের পর পুলিশ কনস্টেবলের চাকরিতে যোগ দেন। ১১ বছর আগে প্রতারকদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল জয়দেবের। বেশি লাভের আশায় প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়েছিলেন তিনি।
প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ময়না থানার পুলিশ। ধৃতের নাম সমীরণ প্রামাণিক। তিনি কাঁথি মহকুমার খেজুরির পশ্চিম ভাঙনমারি এলাকার বাসিন্দা। ধৃত অপরজন হলেন তুষার বৈরাগী। তাঁর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানা এলাকায়। এ বিষয়ে তমলুকের এসডিপিও সাকিব আহমেদ বলেছেন, “প্রতারকরা টাকা দ্বিগুণ করে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারিত পুলিশকর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।”
ধৃতদের জামিনের প্রসঙ্গে ধৃতদের আইনজীবী বলেছেন, “আমরা আসামী পক্ষের হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলাম। পুলিশ দুজনকে ১০দিনের পুলিশ হেফাজতের জন্য আবেদন করে। কিন্তু বেশ কিছু অসঙ্গতির কারণে আদালত পুলিশ হেফাজতের আবেদন খারিজ করে। এক হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে শর্ত সাপেক্ষে অন্তর্বতী জামিন মঞ্জুর করে। এক সপ্তাহের মধ্যে দুজনকে তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।”