
এগরা: শিশু মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কাণ্ড দেখা গিয়েছিল এগরা মহকুমা হাসপাতালে। হাসপাতালের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে পরিবারের সদস্যরা। তাঁদের স্পষ্ট অভিযোগ, চিকিৎসায় গাফিলতিকর কারণেই এই পরিণতি হয়েছে। তুমুল বিক্ষোভের ছবিও সামনে আসে। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সের উপরেও চড়াও হতে দেখা যায় বিক্ষুব্ধদের। খবর যায় পুলিশে। খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এগরা থানার পুলিশ। কিন্তু সেখানে যাওয়া মাত্রই রীতিমতো বেগ পেতে হয়। পাল্টা পুলিশের উপরেই চড়াও হয় বিক্ষুব্ধরা। আরও তপ্ত হয়ে যায় পরিস্থিতি। এ ঘটনাতেই এবার ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
অভিযোগ, উত্তেজনার সময়ে এক হোমগার্ডকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এই খবরেই চাপানউতোর শুরু হয়েছে প্রশাসনিক মহলের অন্দরে। শেষে তদন্তে নেমে ৩ ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। দায়ের হয় অভিযোগ। পরে আরও দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। তোলা হয় কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
অভিযোগ, উত্তেজনার সময় প্রথমে পুলিশের উর্দি ধরে লাগাতার টান দেওয়া হয়। তারপর চলতে থাকে থাপ্পড়। রীতিমতো ঘিরে ধরে রাস্তায় ফেলেও পেটানো হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় উর্দি। যদিও যাঁরা পুলিশকে পিটিয়ে ছিলেন ঘটনার পর তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তখন থেকেই শুরু হয়ে যায় খোঁজ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলেও ব্যাপক চাপানউতোর চলতে থাকে। ক্ষোভ উগরে দেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। কার্যত কটাক্ষের সুরেই তাঁর সাফ কথা, উর্দি আক্রান্ত হচ্ছে কারণ ওরা সম্মান রাখতে পারেনি। তবে কেন এমন ঘটনা ঘটল তার বিশদ তদন্তেরও দাবি করেছেন তিনি।