
নন্দীগ্রাম: বিধানসভা ভোটের আগে বিপাকে তৃণমূল। নন্দীগ্রামের খুনের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নোটিস এল ৪২ জন শীর্ষ তৃণমূল নেতার নামে। আদালতে রাজ্য থেকে মামলা সরানোর আবেদন জানাল সিবিআই। এই পুরো ঘটনাকে কেন্দ্র করে চক্রান্তের অভিযোগ দেখছে তৃণমূল।
গত বিধানসভা নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় খুন হয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি। এই অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রুজু হয়। আদালতের নির্দেশে সেই মামলার তদন্তভার হাতে নেয় সিবিআই। ৪২ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৮ জন তৃণমূল কর্মী ও নেতা গ্রেফতার হন সেই সময়। বর্তমানে তাঁরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
মৃত দেবব্রত মাইতির স্ত্রী, কল্পনা মাইতি, এই মামলার বিচার পশ্চিমবঙ্গের বাইরে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ আদালতে স্থানান্তরিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান। মামলাটি অন্য রাজ্যে পাঠানো হবে কি না, সেই শুনানির জন্য ৪২ জন তৃণমূল কর্মী ও নেতৃত্বকে নোটিস দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। বিজেপি নেতা মেঘনাদ পাল এই আবেদনের কারণ হিসেবে শাসকদলের প্রভাবের অভিযোগ তুলেছেন এবং বিচারব্যবস্থার প্রতি আস্থা রেখেছেন। তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান নোটিস পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানিয়েছেন, তাঁরা আইনি লড়াই লড়বেন।
তৃণমূল নেতা আবু তাহের বলেন, “আমাদের যে কেস নিম্ন আদালতে চলছে, সেটাই ধানবাদে নিয়ে যেতে চাইছে সিবিআই। আমাদের যদি কিছু বলার থাকে, সেটা এক মাসের মধ্যে জানাতে হবে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে।“ তাঁর দাবি, বিজেপি ও সিবিআই মনে করছে, এভাবে অভিযুক্তদের হেনস্থা করা যাবে। ভোটের আগে মাঠ খালি করার জন্য়ই শুভেন্দু অধিকারী এই কাজ করেছেন বলে দাবি তৃণমূল নেতার।