Balasore Train Accident death: পরপর জ্বলল চার চিতা, খেজুরিতে যেন শ্মশানের স্তব্ধতা

Kanishka Maity | Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Jun 06, 2023 | 12:30 AM

Balasore Train Accident: সোমবার ভোরে, ঘটনার তিন দিন পর পাঁচজনের দেহ গ্রামে ফিরতেই চারিদিকে শুধু কান্নার রোল। গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া। গ্রামের ছেলেদের শেষ দেখা দেখার জন্য সোমবার ভোর থেকেই রাস্তার পাশে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন।

Balasore Train Accident death: পরপর জ্বলল চার চিতা, খেজুরিতে যেন শ্মশানের স্তব্ধতা
পাঁচ যুবককে শেষবার দেখতে ভিড় জমে যায়

Follow Us

খেজুরি: তিন দিন পর ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরলেন কফিন-বন্দি হয়ে। কান্নার রোল খেজুরিতে। খেজুরির বোগা থেকে কাজের খোঁজে চেন্নাই যাচ্ছিলেন ৫ যুবক। তাঁদের প্রত্যেকেরই দেহ ফিরল কফিন বন্দি হয়ে। সুমন প্রধান, নন্দন প্রধান, শঙ্কর প্রধান, ভোলানাথ গিরি, রাজীব ডাকুয়া পাঁচ বন্ধু ছিলেন সেই অভিশপ্ত করমণ্ডল এক্সপ্রেসে। তাঁদের মধ্যে চারজনের বাড়ি একই গ্রামের একই পাড়ায়। আর রাজীব ডাকুয়ার বাড়ি পাশের গ্রাম শ্যামপুরে। একই কামরার যাত্রী ছিলেন তাঁরা। এদের প্রত্যেকেরই বয়স ২৫ থেকে ৩০-এর মধ্যে।

সোমবার ভোরে, ঘটনার তিন দিন পর পাঁচজনের দেহ গ্রামে ফিরতেই চারিদিকে শুধু কান্নার রোল। গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া। গ্রামের ছেলেদের শেষ দেখা দেখার জন্য সোমবার ভোর থেকেই রাস্তার পাশে ভিড় জমাতে শুরু করেন স্থানীয় মানুষজন। কারও মুখে কোনও কথা ছিলনা।

দুর্ঘটনার পর থেকে ওই পাঁচ যুবকের কোনও খোঁজ না পেয়ে শনিবার বালেশ্বর রওনা হন পরিবারের লোকেরা। রবিবার বালেশ্বরের মর্গে পাঁচ বন্ধুর দেহ শনাক্ত করেন তাঁরা। ওইদিন বিকেলে পাঁচ যুবকের মৃত্যুর খবর পৌঁছনোর পর থেকেই কান্নার রোল গ্রাম জুড়ে। সোমবার সকালে দেহ পৌঁছতেই গ্রামের মানুষজন ভিড় জমান।

দুর্ঘটনায় মৃত শঙ্কর প্রধানের প্যারালিসিস আক্রান্ত বাবা রঘুনাথ প্রধান শুধু কেঁদেই চলেছেন। সুমনের বাবা সুভাষ প্রধান একটাই কথা বলে চলেছেন বারবার, বলেছিলাম দুরে কাজ খুঁজতে না যাওয়ার জন্যে। শুনল না ছেলেটা…। রাজীব ডাকুয়ার মা ছবি ডাকুয়া কান্নায় ভেঙে পড়েছেন। এবছরই তিনি ছেলের বিয়ে দেবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্ত তার আগেই সব শেষ।

রবিবার থেকে হাঁড়ি চড়েনি কারও বাড়িতে। পরিবারের লোকেরা সিদ্ধান্ত নেন পাশাপাশি ৪টি চিতায় দাহ করা হবে সুমন, শঙ্কর, নন্দন ও ভোলানাথকে। আর রাজীবকে তাঁর গ্রামের শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। স্বজনহারাদের কান্না যেন প্রতিধ্বনিত হচ্ছে গোটা গ্রামে।

Next Article