Bangladeshi Infiltration: হিন্দু সেজে নন্দীগ্রামের মাদ্রাসায় পড়েছেন বাংলাদেশের যুবক? বিস্ফোরক তথ্য সামনে…
Nandigram: সাংভির পোস্ট থেকেই জানা যায়, গত ২০১০ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গুমগড় হাই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন পরিচয় ভাড়ানো যুবক। বাড়ির উল্লেখ রয়েছে, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের চাকদহের। তদন্তকারীদের প্রশ্ন বাংলাদেশি মুসলিম হয়েও কেন বাংলায় হিন্দু পরিচয় দিয়ে নন্দীগ্রামে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেন তিনি?
পূর্ব মেদিনীপুর: বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ এবং তারপর হিন্দু পরিচয়পত্র বানিয়ে এ দেশে থেকে যাওয়ার অভিযোগে ওপার বাংলার এক মুসলিম যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুরাত থেকে গ্রেফতার করেছে বিশেষ তদন্তকারীদের দল। আর তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে হলদিয়া মহকুমার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গুমগড় হাই মাদ্রাসা দাউদপুরের একটি সার্টিফিকেট। যা ঘিরে এই মুহূর্তে চলছে তোলপাড়। রাজনৈতিক তরজাও তুঙ্গে।
সার্টিফিকেটে ৩০ এপ্রিল ২০১০ সালের উল্লেখ রয়েছে। তখনও বাংলার মসনদে বাম সরকার। ফলে বিজেপি তৃণমূলকে নিশানা করলেও, শাসকশিবির কিন্তু সরাসরি বামেদের দিকে আঙুল তুলছে। আর এসবের মধ্যে ওই সার্টিফিকেটে যাঁর সই, সেই প্রধান শিক্ষক দাবি করেছেন, তাঁর সই জাল করা হয়েছে।
গুজরাটের পুলিশ প্রতিমন্ত্রী হর্ষ সাংভি এক্স হ্যান্ডেলে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন। তিনিই প্রথম দাবি করেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহায়তায় চলা একটি মাদ্রাসার সাহায্য নিয়ে ওই যুবক ধর্মীয় পরিচয় জাল করেন। মাদ্রাসার থেকে পাওয়া ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করেই হিন্দু নামে জাল নথিপত্র বানিয়েছিলেন ওই মুসলিম যুবক।
সাংভির পোস্ট থেকেই জানা যায়, গত ২০১০ সালে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের গুমগড় হাই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন পরিচয় ভাড়ানো যুবক। বাড়ির উল্লেখ রয়েছে, নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগরের চাকদহের। তদন্তকারীদের প্রশ্ন বাংলাদেশি মুসলিম হয়েও কেন বাংলায় হিন্দু পরিচয় দিয়ে নন্দীগ্রামে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেন তিনি? পরিবারে বাকি সদস্যরা কোথায়? কেন বা বাংলাদেশ ছেড়ে বাংলায় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করলেন?
বিজেপির পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ মাইতি যখন শাসকদলকে বিঁধে বলছেন, “এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা যে কী তা দেখাই যাচ্ছে। নিশ্চয়ই কোনও তৃণমূল নেতার সুপারিশে এখান থেকে সার্টিফিকেট পেয়েছেন।” তখন নন্দীগ্রাম ১ ব্লক তৃণমূল সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গের কথায়, “২০১০ সাল মানে সিপিএমের অস্তমিত সূর্য। বামেদের শেষ লগ্ন। ওই সময়ে চিরকুটে যেমন চাকরি হতো, তেমনই প্রচুর অবৈধ কাজ হয়েছে। তৎকালীন নন্দীগ্রামের কোন সিপিএম নেতার নির্দেশে এটা হয়েছে খোঁজ নিন। ওই হাইমাদ্রাসার সে সময় যিনি প্রধান শিক্ষক ছিলেন তাঁকেও তদন্তে আনা হোক।”
Big expose by Surat Police SOG (Gujarat Police)
A Muslim Bangladeshi has changed his documents with a Hindu name with the help of a fake certificate provided by the West Bengal government-aided Madrasa.
This is a huge security concern.
In the latest budget, the WB government… pic.twitter.com/YBTY0Egb9Q
— Harsh Sanghavi (@sanghaviharsh) June 23, 2024
তবে ২০১০ সালে গুমগড় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হিসাবে কাজ করেছেন যিনি সেই, কৃষ্ণগোপাল দাসের দাবি, “এই সই আমার নয়। আমার চাকরি জীবনে এমন হয়েছে আমাকে এড়িয়ে কাউকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে।” তবে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহির কথায়, “সুরাট থেকে যে ধরা পড়েছে, সে নাকি বলেছে নন্দীগ্রাম হাই মাদ্রাসায় পড়ত। বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারী। স্কুলে ভর্তি হওয়ার সময় নদিয়ার ঠিকানা দিয়ে ভর্তি হয়। এখন যদি খুঁজতে হয় দোষী কে, খুঁজতে হবে যিনি নদিয়ার রেসিডেন্সিয়াল শংসাপত্র দিয়েছিলেন আর যেখান থেকে এইট পাসের সার্টিফিকেট নিয়ে ধরা পড়েছে সেখানকার হেড মাস্টারমশাইকে জিজ্ঞাসা করতে হয়। তা জিজ্ঞাসা করায় হেড মাস্টার বলেছেন জাল সই। জাল না সঠিক সেটা প্রমাণের বিষয় আছে। জাল হলে ওই ছেলেটিকেই ক্রস করে জানতে হবে সইটা আসল নাকি নকল।”