Fraud Case: অনলাইনে পে করেছিলেন ৭ হাজার, ১০ মিনিটেই গায়েব ১ লক্ষ
Fraud Case: সম্প্রতি কলকাতার একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালে কিছু শারীরিক পরীক্ষার কারণে গিয়েছিলেন। সেখানে অনলাইনে স্ক্যান করে সাত হাজার টাকা পেমেন্ট করেন। তারপরেই একে একে টাকা কাটতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
মেছেদা: অনলাইনে টাকা পেমেন্ট করতে অনেকেই অভ্যস্ত। পাড়ার বাজার থেকে হাসপাতাল সর্বত্রই অনলাইন পেমেন্টের চল রয়েছে এখন। কিউ আর কোড স্ক্যান করলেই মুহূর্তেই লেনদেন হয়ে যায়। সংস্থাগুলিও নিরাপত্তার কথা বলে থাকে গ্রাহকদের। তবে পূর্ব মেদিনীপুরের এক ব্যবসায়ী যে অভিযোগ সামনে এনেছেন, তাতে অনলাইনে পেমেন্ট করার আগে অনেকেই দ্বিতীয়বার ভাববেন।
ভয়াবহ অভিযোগ সামনে এনেছেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মেছেদার এক ব্যবসায়ী। তাঁর দাবি, কোনও ওটিপি তাঁর কাছে আসেনি, কোনও ফোন নম্বর কোথাও দেননি তিনি, অথচ তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে দশ মিনিটের মধ্যে কেটে নেওয়া হয়েছে এক লক্ষ টাকা। একবারে নয়, দফায় দফায় ওই টাকা কাটা হয়েছে অ্যাকাউন্ট থেকে। মেছেদার ওই ব্যাবসায়ীর নাম শশাঙ্ক সামন্ত।
সম্প্রতি কলকাতার একটি নামি বেসরকারি হাসপাতালে কিছু শারীরিক পরীক্ষার কারণে গিয়েছিলেন। সেখানে অনলাইনে স্ক্যান করে সাত হাজার টাকা পেমেন্ট করেন। তারপরেই একে একে টাকা কাটতে শুরু করে বলে অভিযোগ। ১০ মিনিটের মধ্যেই মেছেদা স্টেট ব্যাঙ্ক ও কোলাঘাটের ইউকো ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকার বেশি তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীর।
জানা যাচ্ছে, যে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকেছে সেগুলো দিল্লি, মুম্বই ও রাজস্থানে।র ইতিমধ্যেই শশাঙ্ক সামন্ত সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ব্যাঙ্কেও লিখিতভাবে জানিয়েছেন অভিযোগের কথা। ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, তিনি আইফোন ব্যবহার করেন, তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন প্রতারণার শিকার হলেন, তা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছেন তিনি। ব্যবসায়ী বলেন, “অনলাইনে টাকা দেওয়ার আগে দুবার ভাবুন। অনেক বেশি সতর্ক থাকুন।”