Woman tortured: আরজি করের পর ফের ভয়াবহ ঘটনা বাংলায়, শায়া-ব্লাউজ খুলিয়ে মহিলাকে উলঙ্গ করে ছোটানো হল রাস্তায়!
Woman tortured: গতরাতে বাড়িতে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে ওই গৃহবধূ একা ছিলেন। সেইসময় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী ও বিজেপি নেতৃত্ব বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে ও দৌড় করানো হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূলের। সমগ্ৰ ঘটনায় মহিলার স্বামী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের গোকুলনগরে বাড়ি ওই মহিলার। তাঁর স্বামী চেন্নাইয়ে কাজ করেন। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই পরিবার বিজেপি থেকে তৃণমূলে যোগদান করে। কিন্তু পুনরায় বিজেপিতে ফেরার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ। গতরাতে বাড়িতে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে ওই গৃহবধূ একা ছিলেন। সেইসময় স্থানীয় কয়েকজন দুষ্কৃতী ও বিজেপি নেতৃত্ব বাড়িতে হামলা করে বলে অভিযোগ। বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। ওই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর করে ও দৌড় করানো হয়েছে বলেও দাবি তৃণমূলের। খবর পেয়ে চেন্নাই থেকে বাড়ি ফেরেন মহিলার স্বামী। সমগ্ৰ ঘটনায় তিনি লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় বিজেপির বুথ সভাপতি তাপস দাসকে গ্রেপ্তার করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ।
এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। তাঁর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কালশিটে দাগ পড়ে গিয়েছে। হাসপাতালের বেডে বসে কাঁদতে কাঁদতে বললেন, “রাতে দরজা-জানালা লাগিয়ে ঘরে ছিলাম। ভাঙচুর করে ঘরে ঢুকে। অনেকজন ছিল। আমায় মারধর করে। আমি তাদের পায়ে পড়ে যাই। কিন্তু, কোনও কথা শোনেনি। পোশাক খুলিয়ে রাস্তায় নিয়ে যায়। বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বও সেখানে ছিল। পরশুদিনও আমাকে মেরেছিল। সেইজন্য থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। তাই, গতকাল আবার হামলা করে।”
যদিও দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। এই বিষয়ে বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ মাইতি বলেন, “একটা পারিবারিক বিষয়কে রাজনৈতিক রং লাগিয়ে তৃণমূল রাজনৈতিক মাটি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক যোগ নেই।” আইন আইনের পথে চলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
বিজেপিকে আক্রমণ করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, “৩০-৩৫ জন বিজেপির লোকজন ও দুষ্কৃীতরা ওই মহিলার উপর নির্যাতন চালায়। নগ্ন করে হাঁটায়। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানাবে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। নারীসুরক্ষার কথা বলে নারীদের উপরই এই বর্বর হামলা। ধিক্কার জানাই বিজেপিকে।” এদিকে, নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করতে রবিবার কুণাল ঘোষ, সায়নী ঘোষদের নেতৃত্বে নন্দীগ্রামে যাচ্ছে তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। মোট ৮ জনের ওই প্রতিনিধি দলে কুণাল ও সায়নী ছাড়াও থাকবেন শিউলি সাহা, বিরবাহা হাঁসদা, উত্তরা সিং, মমতাবালা ঠাকুর, দোলা সেন, দেবাংশু ভট্টাচার্য।