পূর্ব বর্ধমান: রাজ্যের নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। শুক্রবার খেজুরির রামচকে ধর্ষিত ৯ বছরের কিশোরীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে যান তিনি।
সেখানে দাঁড়িয়েই রাজ্যে নারীদের কী সুরক্ষা তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মা লক্ষ্মী প্রকল্পে ৫০০ টাকা করে ভিক্ষা দিচ্ছেন। আর এদিকে তাঁর রাজ্যে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হচ্ছে। আর অভিযুক্ত, যে কিনা শাসকদলের সমর্থক। যার বিরুদ্ধে আগেও ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে।”
খেজুরির এই ধর্ষণ বিষয়ে সিবিআইকে চিঠি লেখার কথা জানান অগ্নিমিত্রা। তাঁর দাবি, ২ মের যে সন্ত্রাস হয়েছে, এটাও সেই সন্ত্রাসের মধ্যে পড়ে। গোয়া গিয়ে সেখানকার নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন প্রসঙ্গে খোঁচা দিয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, গোয়ার নারী সুরক্ষা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী চিন্তিত। প্রশ্ন তুলেছেন।
অগ্নিমিত্রার কথায়, “নিজের রাজ্যে একটু দেখুন। প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও মহিলারা নির্যাতিত হচ্ছেv। ধর্ষণ , শ্লীলতাহানির শিকার হচ্ছেন। কিন্তু কোনও বিচার হচ্ছে না। শাস্তি হচ্ছে না খুনি, ধর্ষকের।”
নির্যাতিতা শিশুর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার আগে এদিন তেঁতুলতলা থেকে মিছিল বের করে মহিলা মোর্চা। তাতে অংশ নেন অগ্নিমিত্রা। রামচকের পথে ওই মিছিলের ওপর হামলা এবং বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তা খারিজ করে দিয়েছে তৃণমূল। পুলিশের তৎপরতার কারণে অবশ্য তেমন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়নি। রামচকে গিয়ে আবার নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় বিজেপির নেতানেত্রীদের।
এ ব্যাপারে অগ্নিমিত্রা বলেন, “আমাদের সঙ্গে যাতে দেখা না হয়, তার জন্য নির্যাতিতার পরিবারকে গোপন জায়গায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু আমরা অপেক্ষা করছিলাম।” সন্ধে নাগাদ নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করে কথা বলে ফিরে যান তাঁরা। খেজুরির ধর্ষণ নিয়ে সিবিআইকে চিঠি লেখার বার্তা অগ্নিমিত্রার।
প্রসঙ্গত, এর আগে স্বাধীনতা দিবসের দিন এক পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধা ও তাঁর পুত্রবধূদের উপর যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তিন জনের বিরুদ্ধে। তারা প্রত্যেকেই এলাকায় তৃণমূল কর্মী সমর্থক বলে জানা গিয়েছে।
শাসকদলকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তখন বিজেপি নেতৃত্ব বলেছিলেন, “রাজ্যের মহিলা মুখমন্ত্রী থাকাকালীন মহিলারা বেশি ধর্ষিতা হচ্ছেন। এটা আমাদের লজ্জা। সত্তোরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে এই ভাবে যৌন হেনস্থা করে বলে আমাদের জানা নেই। এই হচ্ছে দিদির বাংলা যেখানে মহিলারা সব থেকে বেশি অবহেলিত এবং লাঞ্ছিত। বাংলায় জন জাগরণের প্রয়োজন রয়েছে। তা না হলে তৃণমূলের এই তাণ্ডব আরো দিন দিন বাড়বে।”
আরও পড়ুন: রাতের কলকাতায় ফিরল গন্ধ বিচার! আবারও ব্রেথ অ্যানালাইজারের ব্যবহার শুরু