Ragging in School: মুখে বই-পেনসিল গুঁজে অকথ্য অত্যাচার! এবার র‍্যাগিং-এর অভিযোগ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার

Ragging in School: বেঞ্চের তলায় বসানো হয়েছে এক পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রকে। পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়েছে তাকে, মুখে গুঁজে দেওয়া হয়েছে বই। এই দৃশ্য দেখে শিউরে ওঠে এক ছাত্র। আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে ওই স্কুলে।

Ragging in School: মুখে বই-পেনসিল গুঁজে অকথ্য অত্যাচার! এবার র‍্যাগিং-এর অভিযোগ পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার
প্রতীকী ছবিImage Credit source: TV9 Bangla

| Edited By: তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী

Sep 21, 2023 | 4:00 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: সম্প্রতি র‍্যাগিং-এর অভিযোগে উত্তাল হয় রাজ্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর র‍্যাগিং নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা বলে রাজ্য প্রশাসন। চালু হয় ২৪ ঘণ্টার হেল্পলাইন নম্বর। তারপরও সেই র‍্যাগিং-এর সামনে এল। কলেজ নয়, স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে। সিঁড়ির তলায় একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ওই নাবালককে কার্যত র‍্যাগিং করা হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। কাঠগড়ায় ওই স্কুলের একাদশ শ্রেণির একদল ছাত্র। এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা স্কুলে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্কুলে তালা লাগিয়ে রীতিমতো বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা। তবে এ ব্যাপারে মুখে কুলুপ এঁটেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ, ভগবানপুরের এক স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়াকে স্কুলের মধ্যে একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে প্যান্ট খুলতে বাধ্য করে একাদশ শ্রেণির ছাত্ররা। এক ছাত্রকে দিয়ে পুরো ঘটনা ভিডিয়ো করানো হয় বলেও অভিযোগ। স্কুলের এক পড়ুয়া জানাচ্ছে, টিফিনের সময় বাইরে বেরিয়েছিল সে। ফেরার সময় একটি ক্লাসরুমের ভিতর থেকে চীৎকার শুনে দাঁড়িয়ে যায়। উঁকি মেরে দেখে, বেঞ্চের তলায় বসানো হয়েছে এক পঞ্চম শ্রেনির ছাত্রকে। পোশাক খুলতে বাধ্য করা হয়েছে তাকে, মুখে গুঁজে দেওয়া হয়েছে বই। আর চীৎকার করছে ওই ছাত্র। এই দৃশ্য দেখে আর না দাঁড়িয়ে চলে যায় ওই ছাত্র। একাধিক পড়ুয়া এই অত্যাচারের ঘটনা দেখেছে বলে অভিযোগ।

পঞ্চম শ্রেনির ওই পড়ুয়ার অভিভাবক জানিয়েছেন, দিদির ছবি দেখিয়ে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ওই ছাত্রকে। অত্যাচারের মুখে সে বলেছিল শিক্ষকদের কাছে নালিশ করবে। তখন তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। এরপর ওই ছাত্র ভয়ে শিক্ষক বা পরিবারের কাউকে জানায়নি বলে দাবি অভিভাবকের। পরে সহপাঠীদের মাধ্যমে খবর পৌঁছয় স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে। অভিযুক্ত ছাত্রদের ডেকে পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে ওই ছাত্রদের ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তারা বলে, ‘আমরা জানি না কেন আমাদের ডাকা হয়েছে।’